নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর জেলাসফরের পরদিনও বিরাম পড়ল না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে। দিনহাটার পর এবার তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি চলল কোচবিহারের সিতাইয়ে। বুধবার দুপুরে মুহুর্মুহু গুলিতে এলাকায় আতঙ্ক ছাড়ায়। গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সিতাই ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে দুষ্কৃতীতাণ্ডব চলছে বলে খবর পৌঁছয় থানায়। থানা থেকে RAF পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে এলাকা খালি করে দেয়। পুলিস এলাকা ছাড়তেই ফের শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে যথেচ্ছ গুলি ও বোমা। মুখে কাপড় বেঁধে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। 


দীর্ঘক্ষণ বিনা বাধায় চলে দুষ্কৃতীতাণ্ডব। এলাকায় মুহুর্মুহু বোমা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় ঢোকার সাহস দেখায়নি পুলিসও। পরে বিশাল পুলিসবাহিনী এলাকায় ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় গোটা সিতাইজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। 


বহিরাগতদের নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করে জমি মাফিয়াদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা
 
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জেলায় থাকাকালীনই তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের দিনহাটা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোধে দলনেত্রীর যাবতীয় নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে এলাকা দখলের লড়াইয়ে চলে যথেচ্ছ তাণ্ডব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্বের কাছে দর বাড়ানোর জন্য স্থানীয় নেতারা নিজেদের কতৃত্ব বাড়াতে মরিয়া। ফলে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দিয়ে চলেছেন। যার ফলে প্রাণ যাচ্ছে তৃণমূলস্তরের দলীয় কর্মীদের। 


বুধবারের ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও বক্তব্য মেলেনি। ঘটনার কথা জানা নেই বলে দায় ঝেড়েছেন অনেকে। অনেককে ফোনেই পাওয়া যায়নি।