নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল ছাত্রনেতা মজিদ আনসারির খুনিদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বনধে স্তব্ধ কোচবিহার জেলা। বুধবার মজিদের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার কোচবিহার কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। চাপের মুখে রাতে কোচবিহার রেলগুমটি এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ কলিম ওরফে মুন্না খানকে গ্রেফতার করে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৩ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন টিএমসিপির কোচবিহার কলেজ শাখার আহ্বায়ক মজিদ আনসানি। বুধবার মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরই মূল অভিযুক্ত মুন্না খানকে গ্রেফতারির দাবিতে কোচবিহার কলেজের সামনে অবস্থান শুরু করেন মজিদের সমর্থকরা। হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন টিএমসিপির এক মহিলা সদস্য। 


আগামী ৩ দিন আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে


ওদিকে কোচবিহার রেলগুমটি এলাকায় মুন্নার বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালায় টিএমসিপি সদস্যরা। এমনকী বাড়ি লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। মুন্না কোচবিহার জেলার তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য। ফলে ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ স্পষ্ট। 


কেন গোলমাল? 


কোচবিহার কলেজের ছাত্রপরিষদের দখল নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা অভিজিত্ দে ভৌমিক ও দলের কাউন্সিল শুভজিত্ কুণ্ডুর টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। ধৃত মুন্না শুভজিত্ কুণ্ডুর গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ওদিকে নিহত মজিদ অভিজিত্ ভৌমিকের সমর্থক ছিল বলে জানা গিয়েছে। 


কী বলছে নিহতের পরিবার? 


নিহত মজিদের বাবা মোস্তাক আনসারির প্রশ্ন, ছাত্রদের হাতে বন্দুক এলো কী ভাবে? পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না কেন? সুবিচারের দাবিতে দরকারে আমরা পুলিস সুপারের দফতরের সামনে অবস্থানে বসব।'


কী বলছেন মন্ত্রী?


মজিদ খুনে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, একটি চক্র কলেজে কলেজে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলায় তৃণমূলের সবাই আমার ঘনিষ্ঠ। তবে এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিস তদন্ত করছে। দোষীরা শাস্তি পাবে। 


পণের জন্য গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা গৃহবধূকে


শুক্রবার কী অবস্থা কোচবিহারে?
 
এদিন সকাল থেকেই বনধে স্তব্ধ গোটা কোচবিহার জেলা। বন্ধ দোকানপাট, চলছে না গাড়ি। উত্তেজনা প্রশমনে কোচবিহার শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিসবাহিনী। 


মুন্নাকে গ্রেফতার করে সেদিনের গুলিচালনার ঘটনায় বাকিদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। ধৃতকে আজ কোচবিহার আদালতে পেশ করা হবে। অভিযুক্ত মুন্নার দাবি, ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।