নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভি এসেছে। কিন্তু রোগীকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়নি, উল্টে তাঁর সঙ্গে সারি ওয়ার্ডে থাকছেন পরিবারের লোকেরাও! আতঙ্ক ছড়িয়েছে হুগলির ইমামবড়া হাসপাতালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালেই সারি ওয়ার্ড বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড আছে। করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে নিয়মমাফিক রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোভিড হাসপাতালে। ব্যতিক্রম নয় হুগলির ইমামবড়া হাসপাতালও। 


আরও পড়ুন: =‘অক্সিজেন নেই, উনি মন কি বাত করে চলেছেন, ওঁর মনের কথা কে শুনতে চায়?’, ক্ষোভ Mamataর


এই হাসপাতালে সারি ওয়ার্ডটি তিনতলায়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের প্রথমে ওই ওয়ার্ডেই রাখা হয়। করোনা পজিটিভি রিপোর্ট এলে, পরিস্থিতি অনুযায়ী রোগীকে সেফ হোমে কিংবা ব্যান্ডেল কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি বলে অভিযোগ। আর তাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।



আরও পড়ুন: করোনার মারাত্মক ঢেউয়েও হুঁশ নেই, রবিবারের বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাস্ক-হীন ক্রেতারা


জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার ইমামবড়া হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে এক যুবকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে দিন তিনেক আগে। অথচ এখনও সারি ওয়ার্ডেই রেখে দেওয়া হয়েছে তাঁকে! এমনকী, ওই রোগীর সঙ্গে হাসপাতালে তাঁর পরিবারের লোকেরাও থাকছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালে সুপারও। তাঁর দাবি, ওই করোনী রোগী হাসপাতালেরই এক নার্সের ছেলে। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো যায়নি। সেফ হোমে যেতেও রাজি নন তিনি। এবার রোগীকে জোর করে হাসপাতাল থেকে সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন সুপার।