কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দলমত নির্বিশেষ এখন প্রধান কাজ বাংলাকে করোনা মুক্ত করা, আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেই লক্ষ্যে গত ১১ জুন 'বাংলার যুব শক্তি' নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছিল যুব তৃণমূল। ওই উদ্যোগ যোগ দিয়েছিলেন ১ লাখ যুব যোদ্ধা। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখেরও বেশি। করোনা নিয়ন্ত্রণে এদের কাজ নামতে আহ্বান জানালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।



শনিবার এনিয়ে একটি ফেসবুল লাইভ করেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, রাজ্যে ৫ লাখ যুব যোদ্ধা প্রত্যেকে তাঁর এলাকায় ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নেবেন। ওইসব পরিবারের কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেই পরিবারেকে সবরকমভাবে সাহায্য করবেন। তাঁদের মাস্ক আছে কিনা, তাঁদের বাজার করতে হবে কিনা, ওষুধ লাগবে কিনা তা দেখবেন। পাশাপাশি, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একই ভাবে কাজ করবেন। এক্ষেত্রে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য হলেও যুব যোদ্ধ হতে কোনও বাধা নেই। সবাই কাজ করবেন বাংলার জন্য।


উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের আগেই এরকম একটি যুবশক্তিকে মাঠে নামিয়ে দিতে চাইছেন অভিষেক। রাজনৈতিক মহলের ধারনা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের উদ্যোগ দলকে উজ্জিবিত করবে। পাশাপাশি, তৃণমূল পর্যায়ে নতুন নেতৃত্বও এই উদ্যোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।


আরও পড়ুন-লাফিয়ে বাড়ল আলুর দাম আর দায়ী মধ্যবিত্তরাই! জানুন কারণ


জেনে নিন ফেসবুক লাইভে কী বললেন অভিষেক


১১ই জুন, ২০২০তে আমরা 'বাংলার যুব শক্তি' উদ্যোগটির সূচনা করেছিলাম যাতে পশ্চিমবঙ্গের ১ লক্ষ যুব যোদ্ধাদের সাথে হাত মিলিয়ে আমরা মানুষের সাহায্য করতে পারি।


আজ ৫ লক্ষেরও বেশি রেজিস্ট্রেশনের সাথে আমরা এই উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্বে পা রাখছি। আগামী ১০০ দিনের পথ চলার পরিকল্পনায় তাঁদের দায়িত্ব সম্মন্ধে অবগত করছি।


পাড়া, গ্রাম বা ব্লকের ১০টি করে পরিবার চিহ্নিত করবেন যুব যোদ্ধারা।


তাদের সঙ্গে  ফোনে যোগাযোগ করবেন।


তাদের কী প্রয়োজন জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তাদের ওযুধ লাগতে পারে, বাজার করে দিতে হতে পারে। নিজের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের সাহায্য করুন।


হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করবেন। সবাই সেই গ্রুপে তাদের অসুবিধের কথা জানাবে।
পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।


নিজে ব্যবস্থা না করতে পারলে ফিল্ড ইউনিটকে জানাবেন।


একটি পোর্টাল খোলা হচ্ছে। সেখানে যুব যোদ্ধারা লিখলে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যাঁরা যোগ্য হবেন তাঁদের উপযুক্ত সম্মান জানানো হবে।


সবাই মিলে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকুন না কেন তা বিবেচ্য নয়। 
যাঁরা যুবযোদ্ধা হবেন তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কোনও বাধা হবে না।


এখন প্রধান কাজ বাংলাকে বাঁচানো। তাই কে বিজেপি, কংগ্রেস, কে সিপিএম তার দেখা হবে। মানুষের জন্য কাজ করুন।


৫ লাখ যুবযোদ্ধা যদি ১০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে তাহলে ৫০ লাখ পরিবারের সঙ্গে যাগাযোগ হতে পারে।


কেউ যদি পাড়া, বুথ, গ্রাম করোনা  মুক্ত করতে পারি তাহলে রাজ্য করোনা মুক্ত হবে।


আপনি যে দলেরই সমর্থক হন না কেন, আপনি যদি যুবযোদ্ধা হন তাহলেও আপানাদের সম্পূর্ণ সাহায্য করা হবে। বাংলাকে করোনা মুক্ত করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ কোনও বাধা নয়।