নিজস্ব প্রতিবেদন: মাস্ক, স্যানিটাইজার, সামাজিক দূরত্ব-সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনেও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। গোটা দুনিয়া তাই হন্য হয়ে খুঁজছে করোনার ভ্যাকসিন। আইসিএমআররের অনুমতি নিয়ে ভয়ঙ্কর এই রোগের টিকা কোভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। সেই টিকারই ট্রায়াল দিয়ে সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত্ ধীবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-টিকে রয়েছেন মাত্র ৫০ জন, আন্দামানে বিলুপ্তপ্রায় এই উপজাতির ১০ জনই করোনা আক্রান্ত  


গত ২২ জুলাই থেকে ভুবনেশ্বরে কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের স্ক্রিনিং শুরু হয়। ২৭ জুলাই শুরু হয় মানবশরীরে ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ। গোটা দেশ যখন করোনা নিয়ে আতঙ্কে কুঁকঁড়ে তখন ওই ট্রায়ালের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন দুর্গাপুরের কাঁকসার শিক্ষক চিরঞ্জিত্ ধীবর। ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিতও হন তিনি। টিকা নেওয়ার জন্য ২৪ জুলাই ভুবনেশ্বর যান চিরঞ্জিতবাবু।



ভুবনেশ্বরের The IMS & SUM হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ওই ট্রায়ালের জন্য চিরঞ্জিত্ উপযুক্ত কিনা তার জন্য তাঁর ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, কিডনি এবং লিভারের রোগ-সহ মোট ৫০ ধরনের টেস্ট করা হয় । রিপোর্ট সবকিছু ঠিক থাকায় গত ২৯ জুলাই তাঁর শরীরে  প্রয়োগ করা হয় কোভিড  ভ্যাকসিন । এরপর প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ডোজও গত ১২ অগাস্ট চিরঞ্জিতের শরীরে প্রয়োগ করা হয় ।


আরও পড়ুন-সোমেন মিত্রের পর প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে প্রদীপ ভট্টাচার্য! শীঘ্রই ঘোষণা


ওই ডোজ দেওয়ার ৭ দিন ও ১৪ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য রক্ত নেওয়া হয় চিরঞ্জিতের শরীর থেকে। ২৬ অগাস্ট ২৮তম দিনে ব্লাড স্যাম্পেল দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁকে। ২৬ অগাস্টই সন্ধ্যেয় তিনি তাঁর দুর্গাপুরের বাড়িতে ফিরেছেন। আপাতত সুস্থই আছেন । এরপর ১০৪ তম ও ১৯৪ তম দিনে চিরঞ্জিতকে ভুবনেশ্বর যেতে হবে শারীরিক পরীক্ষার জন্য।