নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে কিন্তু আতঙ্কিত হবেন না। কোভিডের থেকেও বেশি গতিতে আমরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাড়াচ্ছি। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তিন মাসেই তৈরি হবে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার লক্ষাধিক ডোজ! জানিয়ে দিল সিরাম ইনস্টিটিউট


মুখ্যসচিব এদিন বলেন, এখন চারদিকে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কী হবে কী হবে। প্যানিক করবেন না।
এখন সমস্ত তথ্য ইনফরমেশন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। 
কেস সব জায়গায় বাড়বে। গ্রামীণ এলাকায়ও বাড়বে শহুরে এলাকাতেও বাড়বে। ভয় পাবেন না। সবাই আমাদের সিটিজেন। প্রত্যেকের অধিকার আছে হেলথ ফেসিলিটি পাওয়ার। রোগীর সংখ্যা বাড়বে কিন্তু প্যানিক করবেন না। কোভিডের থেকে বেশি স্পিডে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাড়াচ্ছি।


লকডাউন


রাজ্য সংক্রমণ বাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করছে জেলা প্রশাসন। এনিয়ে রাজীব সিনহা বলেন, কনটেনমেন্ট জোন ধরেই লকডাউন করছি। কিন্তু ব্যাপক ভাবে পুরোপুরি লকডাউন করতে হবে এখন এমনই কোন পরিস্থিতি হয়নি। আজকের দিনে আমাদের কাছে কেস রয়েছে ১৪,৭০৯ সক্রিয়।  এর মধ্যে ১০,৫০০ মত অ্যাসিমটমেটিক। এদের মধ্যে আবার ২,২০০- মাইলড কেস। ১,২৫০ মডারেট কেস। ৪.৫% -৬.৬০ শতাংশ সিরিয়াস রোগী আছে। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর হার ২.৭৬%। গোটা দেশে মৃত্যুর হার  ২.৫৩% শতাংশ। 


মুখ্যসচিব আরও বলেন


আমি হোম আইসোলেশনে আছি কিন্তু আমার কিছু হলে আমি কোথায় যাব?  অনেকে ভয় পাচ্ছেন। আমরা একটা সিস্টেম তৈরি করেছি। ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ এই নম্বরে যে কোনও কিছু নিয়ে কথা বলতে পারবেন।  ২৪x৭ পরিষেবা। সেফ হোমে অক্সিজেন ফেসিলিটির ব্যবস্থা থাকবে।


মেডিকেল পরিষেবা সবরকম থাকবে। ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা আছে। ৬০০-র মতো সেফ হোম আছে আমাদের রাজ্যে।


রোজ আমাদের রোগী ভর্তি হচ্ছেন ১০০ জনের মতো।


আমাদের কাছে অনেক বেড ফাঁকা আছে। কলকাতায় এখনও প্রায় ১৫০০ বেড ফাঁকা আছে।


সেফ হোমে আজকের দিনে আমাদের কাছে ৬,০০০ বেড আছে।


বিনোদ কুমারকে মাথায় রেখে করোনা ডেড বডি শেষকৃত্য করার জন্য একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে।


মাত্র ১৯০০ জন মতো ক্রিটিকাল আছে। ১০ কোটির মধ্যে। ভয় পাবেন না।


আরও পড়ুন-বসপা ভাঙিয়েছিলেন গেহলট; এবার ফোনে আড়ি পেতেছেন, রাজস্থানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি মায়াবতীর


এটুকু বলতে পারি বেডের অভাব এখনও শুরু হয়নি।


যে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন চলছে সেখানে পরিস্থিতি বিচার করে লকডাউন বাড়াতে হলে লোকাল প্রশাসন লকডাউন বাড়াবে।


কয়েকটা ফলস পজিটিভ আমরা পেয়েছি। প্রয়োজনে সেই ল্যাব আমরা বন্ধও রেখেছি। নতুন কিটস আসছে,  অত্যন্ত সেনসেটিভ, যেগুলো ব্যবহার করার জন্য  আমরা ল্যাব টেকনিশিয়ানদের জন্য আজ বিকেল পাঁচটা থেকে একটা ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করছি। যাতে আর ফলস পজিটিভ না আসে।