নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দু'জন। কিন্তু সৎকার করবে কে? মৃত্যুর পর পেরিয়ে গিয়েছে ১৪ ঘণ্টা। শহরের দুই প্রান্তে বাড়িতেই পড়ে রয়েছে দেহ! এবার আতঙ্ক ছড়াল কৃষ্ণনগরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শক্তিনগরের জেলা হাসপাতালের একেবারেই উল্টো দিকেই বাড়ি বিপ্লব পালের। অসুস্থ ছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরেই। শেষপর্যন্ত যখন করোনা পরীক্ষা করা হয়, তখন পজিটিভি রিপোর্ট আসে। প্রতিবেশীরা বলছেন, গতকাল রাতে বাড়ির বারান্দার একটি চেয়ারে বসেছিলেন বিপ্লব। তখনই সম্ভবত মারা যান তিনি। তারপর? রাত কেটে গেলেও প্রশাসনের তরফে দেহ উদ্ধার সৎকারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, পুরসভাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। এমনকী, সরকারি হেল্পলাইন নম্বরে ফোনও করে  সাহায্য মেলেনি। 


আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টা বাড়িতে কোভিডে মৃত বৃদ্ধার দেহ, Zee ২৪ ঘণ্টার খবরে টনক নড়ল প্রশাসনের


কৃষ্ণনগরের শহরেরই উকিল পাড়ায় যা ঘটেছে, তা আরও মর্মান্তিক। যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে-ও করোনা আক্রান্ত। দু'জনকেই ভর্তি করা হয়েছে কলকাতা হাসপাতালে। একমাত্র ছেলে বিদেশে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধের দিকে মারা যান গৌতম পাল নামে ওই বৃদ্ধ। এখনও পর্যন্ত দেহ পড়ে আছে বাড়িতেই।  দুই করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারে গড়িমসির কারণে এলাকায় সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে রাতেই দুটি দেহই পলিথিনে মুড়ে সৎকারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বস্তুত, গোটা রাজ্যের মতো নদিয়ায়ও ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। জেলা হাসপাতালগুলি রোজই এক-দু'জন করোনী রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩১৮