নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমন্ত্রণ পেলে নিশ্চয়ই যেতাম'। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কোভিড বৈঠকে গরহাজিরা নিয়ে সোজাসাপ্টা জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বললেন, 'আমি শুনেছি, যে দশটা রাজ্যে করোনা বেশি হয়েছে, তাঁদের ডাকা হয়েছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখনও রাজ্যে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। শেষবেলায় বাংলায় ৪টি সভা বাতিল করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। গতকাল টুইট করে তিনি জানিয়েছিলেন, 'কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনায় আগামিকাল উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে থাকব। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গে যাব না।' এদিন দিল্লিতে যখন বৈঠক চলছে, তখন দুর্গাপুরে ভার্চুয়ালি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, 'আজকে বোধহয় উনি কোনও মিটিং করছেন। আমি শুনেছি। আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পেলে নিশ্চয়ই যেতাম'। এরপরই যোগ করেন, 'আমি শুনেছি, যে দশটা রাজ্যে করোনা বেশি হয়েছে, তাঁদের ডাকা হয়েছে।  সে ঠিক আছে, অসুবিধা নেই'। 


আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টা বাড়িতে কোভিডে মৃত বৃদ্ধার দেহ, Zee ২৪ ঘণ্টার খবরে টনক নড়ল প্রশাসনের


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেলেও কি যেতেন মমতা? কারণ, যতবারই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী, ততবারই গরহাজির থেকেছেন তিনি। প্রতিনিধি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে। করোনা মোকাবিলায় সাহায্য চেয়ে তো বটেই নয়, কেন্দ্রের গণটিকাকরণ কর্মসূচির সমালোচনা করেও প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখেছেন মমতা। তাহলে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তৃণমূলনেত্রীকে তাদের কটাক্ষ, 'দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেখানে যোগ না দিয়ে চিঠি দিচ্ছেন'।