নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনায় ফের মৃত্যু ঝাড়গ্রামে। গতকাল রাতে ২৮ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আর এই মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে ঝাড়গ্রাম শহরে পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। অবরোধে সামিল হয়েছেন তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম কো-অর্ডিনেটর স্বপন ঠলা। বিজেপির কর্মীরাও সামিল হয়েছেন ধর্নায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবারের লোকের অভিযোগ, সিএমওএইচ, জেলাশাসকের তুঘলকি সিদ্ধান্তের জেরেই মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে শহরে। ডায়েরিয়া এবং জ্বর উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন ওই তরুণ। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরও তাঁকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ। যুবকের অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে গতকাল কোভিড হাসপাতালে আনা হয়। অথচ কোনো কিছুই তার পরিবারের লোকদের জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে সেখানেই মারা যায় সেই তরুণ। তার পরই উত্তেজনা ছড়ায়।


আরও পড়ুন-  গত ১ দিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ৩,১৯২, মৃত্যু ৫৯ জনের


সেই যুবকের পরিবারের লোকজনের টেস্টের ব্যবস্থাও করা হয়নি এখনও। এর আগে সিওএমএইচ-এ রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল অবহেলার কারণে। গত পরশু পুলিসকর্মীর মৃত্যু ঘটেছিল এই কোভিড হাসপাতালে। প্রত্যেকটি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই ম্যানেজমেন্ট ও ডাক্তারদের দায় রয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাইভেট প্রাক্টিস-এর দরুন হাসপাতালে চিকিত্সকদের পাওয়া যায় না। ফলে রোগীদের অবহেলা রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। যে ডাক্তার ডিউটিতে ছিলেন সেই সুকল্প চৌধুরী সারাদিন  বিভিন্ন জায়গাতে প্রাইভেট প্রাক্টিস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়াতে যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও   অভিযোগ, গ্রিন জোন ঝাড়গ্রামে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে করোনা ছড়ানো হচ্ছে। 


এদিন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে করোনা মৃত্যু নিয়ে অবরোধ চলাকালীন মেডিসিনের ডাক্তার অর্নাশিষ হোতাকে মারা হয়। অভিযোগ তৃণমূলের ঝাড়গ্রামের কোর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর সামনে তাঁর লোকজন মারধর করে। এর পরেই কর্মবিরতি শুরু করেন ডাক্তাররা। ডাক্তারদের স্পষ্ট অভিযোগ ডিএম এবং সিএমওএইচ-এর বিরুদ্ধে। ঠান্ডা ঘড়ে বসে ডিএম, সিএমওএইচ যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের ভুল বুঝছেন বলে অভিযোগ।