নিজস্ব প্রতিবেদন: গড়ফার পর এবার রাজপুর-সোনারপুর। আবার জি ২৪ ঘণ্টার খবরে জেরেই নড়চড়ে বসল প্রশাসন। ১৭ ঘণ্টার পর কোভিডে মৃতের দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দিলীপ রায়। বয়স প্রায় আশি বছর। থাকতেন রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় একটি হাউজিং সোসাইটিতে। ১৮ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রবল শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল দিলীপের। তাঁকে ভর্তি করার জন্য হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, কিন্তু বেড পাননি। বাড়িতেই ছিলেন ওই বৃদ্ধ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা যান দিলীপ রায়। 


আরও পড়ুন: সৎকার করবে কে! কৃষ্ণনগরের দুটি বাড়িতে পড়ে কোভিড আক্রান্তের দেহ


কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট দেবে কে? বিস্তর ছোটাছুটির পর শেষপর্যন্ত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন। পেশায় তিনি চিকিৎসক। এরপর দেহ সৎকার করা নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। দেখতে দেখতে পেরিয়ে যায় ১৭ ঘণ্টা। তখনও করোনা আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর দেহ পড়েছিল বাড়িতেই। এই হাউজিং সোসাইটিতে ৮০টি পরিবারের বাস। সংক্রমণের আশঙ্কায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলেই। জি ২৪ ঘণ্টার এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর সন্ধের দিকে দেহ সৎকারের ব্য়বস্থা করে প্রশাসন।


আরও পড়ুন: রাজ্যের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে যাবে কেন? কেন্দ্রকে তোপ Mamata-র


এর আগে সকালে একই ঘটনা ঘটেছিল গড়ফায়। প্রবল শ্বাসকষ্টের জেরে বৃহস্পতিবার মারা যান সত্তরোর্ধ্ব সন্ধ্যা পাল। মৃত্যুর ৩ ঘণ্টার পর পজিটিভি রিপোর্ট আসে। কিন্তু প্রশাসনের তরফের সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। জি ২৪ ঘণ্টায় এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। ১৬ ঘণ্টা পুরসভার গাড়ি পৌঁছয় মৃতের বাড়িতে। সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।