প্রসেনজিত্ মালাকার: পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তারই কিনা কোটি কোটি ব্যাঙ্ক ব্যালান্স! ওই টাকার উত্স কী? সেই উত্স সন্ধান করতে গিয়ে প্রায় কুবেরের ধনের সন্ধান পেয়ে গিয়েছে ইডি। কয়েকদিন আগেই অনুব্রত হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি এবার অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের আয়ের উত্স সম্পর্কে একের পর এক তথ্য দিচ্ছেন। এমনটাই খবর ইডি সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগাতে হবে নইলে বুঝব সরষের মধ্যেই ভূত, বিস্ফোরক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী 


অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান আগেই পেয়েছে ইডি। সেই এফডি যে গোরু পাচারের টাকাতেই হয়েছে তা মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন ইডিকে। এমনটাই সূত্রের খবর। এবার সুকন্যার আরও ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল ইডি। 


বোলপুরের ব্যাঙ্ক অব বরোদা-য় সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিটের মোট মূল্য ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়াও সল্টলেক এসবিআইয়ের এক শাখায় রয়েছে ৫টি ফিক্সড ডিপোজিট। এর মূল্য ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে ২ বছরের মধ্যে। সময়টা ২০১৯ সালে মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে।


সূত্রের খবর অনুব্রতর সিএ মণীশ কোঠারিতে জেরা করেই ওইসব তথ্য মিলেছে। মণীশ জানিয়েছেন গোরু পাচারের টাকাতেই ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল।


এদিকে, নিজের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে চাপ দিয়ে তার কোম্পানি মেয়ের নামে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত। এমনও তথ্য উঠে আসছে। সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিটি আসলে মণীশ কোঠারি অ্যান্ড গ্রুপের। মণীশের সঙ্গে আরও ১৬ জন ছিল ওই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার। ২০১৮ সালে ওই কোম্পানিটি জোর করে সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে বাধ্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। 


জানা গিয়েছে, ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানিটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করেছিলেন মণীশ কোঠারিরা। শুধু কোম্পানির স্বত্বা বিক্রি করা-ই নয়, মণীশ কোঠারিদের আমলে এই কোম্পানির নামে কেনা সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়। কোম্পানির নামে থাকা ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি অনুব্রত নির্দেশে সুকন্যাকে দিতে বাধ্য হন মণীশরা। ইচ্ছে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই এই কোম্পানি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন মনীশরা। একইসঙ্গে মণীশের মাধ্যমেই নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি  চালু করেন সুকন্যা। জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)