প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরুপাচার কাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ের একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। ওইসব জমিগুলি বোলপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। ওইসব জায়গায় জমির দাম আকাশ ছোঁয়া। গতকালই অনুব্রতর ২৪০ কাঠা জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এবার মিলল তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির সন্ধান। সরকারি নথি অনুযায়ী বোলপুর পুরসভা এলাকায় ১২০ কাঠা জমি রয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। এখনওপর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ের নামে বোলপুরে যেসব জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তার মূল্য আনুমানিক ২৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। ওইসব জমি এখন রয়েছে সিবিআইয়ের রেডারে। প্রশ্ন উঠছে গোরু পাচারের টাকা কি তাহলে ওইসব জমিতে বিনিয়োগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল? কারণ ওইসব জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ফলে নগদ টাকায় জমি কিনে ফেলে রাখা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আজকের পর হয়তো গ্রেফতার করা হবে! মেয়ো রোডের সভায় কেন বললেন অভিষেক?


উল্লেখ্য, ১২০ কাঠা জমির বাইরে শিবশম্ভূ রাইস মিলে রয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের জমি। পাশাপাশি ওই রাইস মিলের নামেও বেশকিছু সম্পত্তি রয়েছে। একজন সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী থেকে অনুব্রতর জেলার ডাকাবুকো নেতা হয়ে ওঠা এবং একজন সাধারণ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা থেকে সুকন্যা মণ্ডলের বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্ন উসকে দিয়েছে।


তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও তার স্ত্রী ছবি মন্ডল এই তিনজনের নামে যা সম্পত্তি রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তারা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়র নামে ইনভেস্ট করে রেখেছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন উঠছে, যদি অনুব্রত মণ্ডল ও তার কন্যারই শুধুমাত্র বোলপুর শহরে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তাদের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কত কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট রয়েছে।


সরকারি নথি অনুযায়ী গত ৪ বছরে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা ও তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে বল্লভপুর, মকরমপুর, গয়েশপুর, খোসকদমপুর ও কালিকাপুর মৌজা এলাকায় একাধিক জমি রয়েছে। পাশাপাশি গয়েশপুর মৌজায় ১৬টি জমি, বোলপুর মৌজায় ৪টি এবং খোশকদমপুর মৌজায় ২টি জমি অনুব্রতের নিজের নামে রয়েছে বলেও সরকারি সূত্রের খবর। ওইসব জমি ২০২১ সালে কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও গয়েশপুর মৌজায় ২০১৮ সালে ১টি, ২০১৯ সালে ২টি জমি এবং ২০১৭ সালে ৩টি জমি কেনা হয়। সব মিলিয়ে ২০১৭ থেকে ’২১ সালের মধ্যে তৃণমূলের জেলা সভাপতির নামে প্রায় ২৪০ কাঠা জমি কেনা হয়েছে বলে সরকারি তথ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)