বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: গোরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার সায়গল হোসেনকে ২ সপ্তাহ জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। আগামী ৮ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর গ্রেফতারের মেয়াদ ২ মাস পূর্ণ হবে। এখনওপর্যন্ত সায়গল হোসেনের প্রায় একশো কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার নিউটাউনেই রয়েছে তার ৩টি ফ্ল্যাট। এর মধ্য়ে ২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে তার স্ত্রীর নামে। তৃতীয়টি রয়েছে তার পরিচারিকার নামে। শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত সায়গল হোসেনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ, জেলে গিয়ে তাকে জেরা করতে পারবে সিবিআই।  এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ অগাস্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'প্রমাণ করুন, মমতার সঙ্গে বোঝাপড়া নেই', সরাসরি মোদীকে চ্যালেঞ্জ তথাগতের


সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা এদিন সায়গলের জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার নিদর্শন তুলে ধরেন। কোনও সিজার লিস্ট জমা দিতে পারেনি সিবিআই বলেও তিনি দাবি করেন। সোমবার ষাট দিন পূরণ হচ্ছে বলে সেদিনই প্রাইমারি চার্জশিট সিবিআইকে জমা দিতে হবে, যদি না দেয় তাহলে তো জামিন হতে পারে এই কথাও বলেন আইনজীবী অনির্বাণ। জামিনের জন্য অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আরও বলেন, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বলে ৩২ দিনে জামিন পেয়ে যান, সায়গল হেসেন রাজ্য সরকারী কর্মচারী বলে তিনি জামিন পাচ্ছেন না? এটা কি ঠিক হচ্ছে?


অন্যদিকে সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার বলেন, জেল হেফাজতে সায়গেলকে নিতে হবে। কারণ তার বহু তথ্য ও বহু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এই ১৪ দিনে যেসব জায়গায় সিবিআই হানা দিয়েছে সেখানে বহু তথ্য তারা পেয়েছে। বাংলাদেশ যোগ তো রয়েছেই। পাশাপাশি বীরভূমে সিবিআই হানা দিয়েছিল টুলু মন্ডল, করিম খানের বাড়ি-সহ ১৩ জায়গায়। সেখান থেকেও বহু তথ্য তারা পেয়েছে। এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সায়গেল,করিম খান, টুলু মণ্ডল সহ সকলেরই। টুলু মন্ডলের মহম্মদবাজারে বড় পেট্রোল পাম্প রয়েছে,তারও হদিশ পেয়েছে সিবিআই।


কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, বালি, পাথর, গোরু, পেঁয়াজ ও চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সমস্ত রকম লিংক রয়েছে এদের।। এনামুল পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাথর, পেঁয়াজ, বালি, চাল, বাংলাদেশে বিক্রি করতো অনেক কম দামে অর্থাৎ লসে। বাংলাদেশ থেকে যে পয়সা আসতো সেই পয়সাটা সম্পূর্ণ সাদা পয়সা হত। এইভাবে গোরু পাচার কাণ্ডের সমস্ত কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করত সেই তত্ত্বও তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে এসেছে। মূল্যবান তথ্য ও আরও অনেক কিছু হাতে এসেছে যা সম্ভবত সোমবার প্রাইমারি চার্জশিটে জমা করবে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বীরভূম জেলা পরিষদের বদন্যতায় ডোমকলের বহু লোক বহু কাজ ঠিকাদারি বা অন্য কিছু পেয়েছে সায়গল হোসেনের রেফারেন্সে বলে সিবিএস সূত্রে জানা গিয়েছে। করিম খান এবং তার সঙ্গী সাথীরা টুলু মন্ডল এবং তার সঙ্গে সাথীরা এই সমস্ত কাজের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)