নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে গরু পাচারের তদন্ত আরও জোরদার করল সিবিআই। রাজ্যে ইতিমধ্য়েই এসে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের একটি দল। তাদের নজরে রাজ্যের ৩ জেলা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে, শনিবার দিল্লির আদালত থেকে জামিন পেয়ে গেল রাজ্যে গরুপাচারকাণ্ডের মাথা এনামুল হক। আজই তাকে কলকাতায় আনার কথা ছিল।


আরও পড়ুন-পূর্ণিয়ায় প্রার্থীর ভাইকে গুলি, বিহারে শেষ দফায় ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৫৫.২২ শতাংশ


এদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির একটি আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় এনামুল। ছাড়া পেয়েই সে ভর্তি হয়ে যায় দিল্লির একটি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, সুস্থ হলে তাকে হেফাজতে নিয়ে কলকাতায় আনার আবেদন কবে সিবিআই। আগামী সোমবার ওই মামলার শুনানি রয়েছে।


উল্লেখ্য, তদন্ত নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ ও নেপালে এনামুলের বাড়ি রয়েছে। সল্টলেকে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে বাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিল সে। বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এনামুলের। সিবিআই মনে করছে, সেই জন্যই সমস্তরকম প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যেত এনামুল। এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর নজরে ১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কাস্টম অফিসার, ৪ জন বিএসএফ-এর কর্মী আছেন। এছাড়াও আছেন ২ জন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিও।


আরও পড়ুন-মোদীজি তো বাংলায় এসে লড়বেন না; রাজ্যে ওদের মুখে কে, দিলীপ না মুকুল: সৌগত


সূত্রের খবর দিল্লি থেকে আসা দলটি পৌঁছেছে রাজ্যের তিন জেলায়। তদন্তে উঠে এসেছে, বসিরহাট, মালদা ও মুর্শিদাবাদ- এই ৩ জেলা থেকেই মূলত অপরাধ সংগঠিত হয়। ওইসব জেলায় বিভিন্ন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তাঁরা। 


জানা গিয়েছে, বিএসএফ বা কাস্টমসের ধরা গরুগুলিকে প্রথমে কেনা হত। তারপর সেগুলিকে ৭ গুণ বেশি দামে পাচার করা হত। বেআইনি সিন্ডিকেট স্ট্যাম্প লাগিয়ে সেই গরুগুলিকে পাচার করা হয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুলকে জেরা করে বসিরহাটের এক ব্যবসায়ীর খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর।