Cow Smuggling Case: এনামুল গোরু কিনলেও তা সীমান্ত পার করাত কীভাবে প্রমাণ হয়, সওয়াল আইনজীবীর
এদিন সওয়াল করতে উঠে গোরু পাচারকাণ্ডে এনামুল হকের কথা টেনে আনেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। বলেন, গোরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। তার বিরুদ্ধে গোরু পাচারের যে সেকশন হয় তা মামলায় উল্লেখ নেই
বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত ও অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ওই সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। এর পাশাপাশি সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনটি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন সায়গল হোসেন সম্পর্কে সব নথি আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআইকে। পাশাপাশি সায়গল হোসেনের আইনজীবীকে চার্জশিটের কপি-সহ অন্যান্য নথি ৭ দিনের মধ্য়ে দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, ধর্ষণের মামলা দায়েরের অনুমতি
এদিন সওয়াল করতে উঠে গোরু পাচারকাণ্ডে এনামুল হকের কথা টেনে আনেন সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। বলেন, গোরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। তার বিরুদ্ধে গোরু পাচারের যে সেকশন হয় তা মামলায় উল্লেখ নেই। বলা হচ্ছে এনামুল বড় গরু গুলোকে ছোট গরু দেখিয়ে কিনত। কিন্তু গোরু যে সে আন্তর্জাতিক বর্ডার পার করাত তা কীভাবে প্রমাণ হয়। যদি গোরু যদি সীমান্ত পার না করা হয় তাহলে গোরু পাচারকাণ্ডে কীভাবে এরা গ্রেপ্তার হয়। গোরু পাচার কীভাবে হতো। কোথা থেকে গোরু আসতে। কোথায় যেতে তা থেকে সরে এসে এখন কার পকেটে কত টাকা গিয়েছে সেই দিকে তদন্ত ঘোরাতে চাইছে সিবিআই। কিন্তু গোরু আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে পাচার হতো কিনা সেই বিষয়ে সেরকম কোন তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা দিতে পারেননি। সায়গল হোসেনের চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে। তখন কাস্টটোডি ট্রায়াল হবে না কেন?
সায়গলের আইনজীবী এনিয়ে আরও সওয়াল করেন, সায়গল হোসেনের আড়াই বছরের অসুস্থ মেয়ে ও অসুস্থ মা রয়েছে। পাশাপাশি সে খুবই অসুস্থ। এই সমস্ত বিষয় বিচার করে জামিন দেওয়া হোক।
অসুস্থর কথা শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে? সায়গেল দাঁড়িয়ে উত্তর দেয়, চেষ্টে ইনফেকশন আছে। ঠান্ডা লেগেছে। জেল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। এখন অনেকটা সুস্থ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের আইনজীবী রাকেশ কুমার বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে সায়গল হোসেন যে টাকা তুলতো তার প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তাই তার যদি জামিন হয়ে যায় তদন্তে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে তদন্ত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে যার ছত্রছায়ায় সয়গল ছিল সেই অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে। সেখানেও বহু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
বিচারক সমস্ত দিক শুনে সায়গলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানি ১লা সেপ্টেম্বর হবে। যে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই মোবাইল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে তদন্ত করার জন্য পাঠানোর নির্দেশও দেন তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ আগস্ট অনুব্রতর দুটি মোবাইল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে কিনা তা নিয়ে শুনানি হবে।