বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরু পাচার মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিল সিবিআই। সোমবার আসানসোলে বিশেষ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এনিয়ে গোরু পাচার মামলায় মোট ৩টি চার্জশিট জমা পড়ল। ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিকাশ মিশ্র ও সেখ আবদুল লতিফের। গোরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের আত্মীয় এই লতিফ। সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হেসেনের হেফাজতে থাকার ৬০ দিন পূর্ণ হচ্ছে।  সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরা দিতে বলেছিল সিবিআই। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তিনি গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তবে ভর্তি হতে পারেন অনুমান করে উডবার্ন ওয়ার্ডে ২১৬ নম্বর কেবিনটি তৈরি রাখা হয়েছিল। এবার কী হবে? আজ না হয় কাল যদি অনুব্রত সিবিআইয়ে হাজিরা দেন তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের নামে যে সকল নথি জোগাড় হয়েছে, সেই সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারে কেন্দ্রিয় তদন্তকারী অফিসারেরা। যদি সমস্ত তথ্য প্রমাণ এর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্ক থাকে তাহলে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারও করতে পারে সিবিআই, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই মামলায় আজ সায়গল হেসেনের জামিনের আবেদন ফের নাকচ করে দিল আদালত। পরবর্তী শুননির তারিখ ১৮ই আগস্ট। সেদিনই টেলিফোনে বা মোবাইলে যে কথোপকথন হয়েছে সায়গল হেসেনর সঙ্গে অন্যান্য অভিযুক্তদের তার শুনানি হবে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে তিনটি চার্জশিট জমা পড়ল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে।
  যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়ল তারা হলেন, সতীশ কুমার(বিএসএফ কমান্ডেন্ড), এনামুল হক, তানিয়া সান্যাল, বাদলকৃষ্ণ সান্যাল, রশিদা বিবি, আনারুল সেখ, গোলাম মোস্তফা, বিনয় মিশ্র, বিকাশ মিশ্র, সায়গেল হোসেন, সেখ আব্দুল লতিফ।


আরও পড়ুন-নিজাম প্যালেস এড়িয়ে সোজা এসএসকেএম-এ অনুব্রত, কেষ্টর ভর্তি নিয়ে দ্বিধায় চিকিৎসকরাই! 


উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডলের উপরে। গত ৩ অগাস্ট কলকাতা ও  বীরভূম মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি ও সিবিআই। ওই তালিকায় ছিল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল ও কেরিম খান। তাদের বাড়ি থেকে ১৭ লাখ টাকা, একাধিক লকারের চাবি, ১০টি মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ, ৪০টিরও বেশি ডাম্পারের কাগজপত্র, বেশকিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে এখন তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিক বলে অনুমান করা হচ্ছে।  তার মাধ্যমেই গোরু পাচারের টাকা লেনদেন হতো বলেও অনুমান করা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)