নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল সিপিএম। সোমবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার চর্চার অভিযোগ তোলেন। পালটা দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। সিপিএম-কে বিজেপির দোসর বলে কটাক্ষ করেছে তারা। সূর্যকান্তকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'মেরুকরণ ও দাঙ্গার পরিবেশ তৈরির জন্য রথযাত্রা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। আমরা একটা মিটিং করতে চাইলে অনুমতি মেলে না। রথযাত্রার অনুমতি পেল কী করে? রাজ্যে আরএসএস-এর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ চলছে।'


এদিন বিজেপির পালটা তৃণমূলের কর্মসূচিকেও বেঁধেন সূর্যকান্ত। বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রথযাত্রা যে রাস্তা দিয়ে যাবে তার পিছন পিছন যাবে তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু বাম কর্মীরা রথযাত্রার সামনে-পিছনে দুদিকেই থাকবে। রথযাত্রা থেকে যাতে কোনও উত্তেজনা না-ছড়ায় সেদিকে নজর রাখবেন তাঁরা। একমাত্র সংগঠিত জনমতই বিজেপির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে পারে।' 


দুবরাজপুরে SI খুনে বেকসুর খালাস ১৯ অভিযুক্ত, তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারক


সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ ফুত্কারে উড়িয়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'সিপিএমের আর বিজেপিকে মোকাবিলা করার মতো কোমরের জোর নেই। তাই দলে দলে সিপিএম কর্মী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই এরাজ্যে গণতন্ত্র আছে। তৃণমূল একাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে।' ফিরহাদ হাকিমের দাবি, 'সভার অনুমতি দেওয়া না-দেওয়া প্রশাসনের ব্যাপার। তবে সূর্যবাবুরা সভার অনুমতি পান না এটা ঠিক নয়। আবেদন করলে সবাইকেই অনুমতি দেওয়া হয়।'


সূর্যবাবুর মন্তব্যে সরাসরি প্রত্যাঘাত করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'সূর্যর থেকে রাজনীতিটা আমি বেশি বুঝি। তাই বিধানসভা নির্বাচনে উনি হেরেছেন, আমি জিতেছি। BJP কী তা সারা ভারতবর্ষ জানে। আর দিলীপ ঘোষ কে তা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর বুঝিয়ে দেব।' ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে এর পর দিলীপ বলেন, 'দলে কেউ ছিলেন না বলে সূর্যকান্ত রাজ্য সম্পাদক হতে পেরেছেন।' 


১৯৭১ সালের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা ১০০ শতাংশ ভারতীয়, বললেন মমতা


লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই রাজ্যে জোরদার হচ্ছে বিজেপি-সিপিএম ও তৃণমূলের তরজা। সবাই বাকি দু'পক্ষের মধ্যে আঁতাত প্রমাণ করতে ব্যস্ত। একদিকে বিজেপি যেমন মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলে সিপিএম ও তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে রাখার চেষ্টা করছে তেমনই সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে বিজেপি - তৃণমূলের আঁতাত প্রমাণে মরিয়া সিপিএম। ওদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির সংগঠনে লোক সরবরাহ করছে সিপিএমই।