ওয়েব ডেস্ক: নেতৃত্বের নির্দেশকে কার্যত তোয়াক্কা না করেই পুরভোটে জোটের পথে সিপিএম। ডোমকল এবং পূজালিতে অলিখিত জোট গড়ে লড়ছে সিপিএম। রায়গঞ্জে চেষ্টা হচ্ছে জোট গড়ার। তৃণমূলকে রুখতে জোটই বিকল্প। দাবি স্থানীয় দুদলের নেতাদেরই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু নেতাদের সমস্ত নির্দেশকেই কার্যত অগ্রাহ্য করেই জোটের পথে হাঁটল স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ডোমকলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে সিপিএম। পূজালিতেও জোট গড়ার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। রায়গঞ্জে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে।


মুর্শিদাবাদের ডোমকল। জোট গড়ে বিধানসভা ভোটে লড়লেও জোট ভেস্তে গিয়েছিল ডোমকলে। জিতেছিল সিপিএম। সেই ডোমকল দিয়েই ফের সেকেন্ড ফেজে জোট।


এখনও পর্যন্ত ঠিক, ১১টি আসনে লড়াই করবে সিপিএম, কংগ্রেস লড়বে ১০টি আসনে


হঠাত্‍ কেন জোটের পথে হাঁটতে শুরু করল সিপিএম?


একের পর এক ভোটের বিপর্যয়ই কী কারণ?


কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ভরাডুবি মুখ লোকানোর কার্যত জায়গা নেই বামেদের। একই অবস্থা কংগ্রেসেরও। শুধু কাঁথি কেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব নির্বাচনেই হারাটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে বামেদের কাছে।


সে কারণেই কি পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজ্য কমিটি, প্লেনাম, সব সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে স্থানীয় স্তরে জোটের পথে হাঁটল নেতারা?


স্থানীয় নেতৃত্বের যুক্তি, তৃণমূলকে রুখতে এছাড়া অন্য কোনও বিকল্প পথ নেই।


সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠক। তারপর দুদিন চলবে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী ফলাফলের কাটাছেঁড়া হবে বৈঠকে। সূর্য-বিমান বসুরা ফের জোটের পক্ষে সরব হবেন, এমনটাই খবর বাম শিবিরের। বিজেপির উত্থানও জোটপন্থীদের যুক্তিকে আরও যে পোক্ত করবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।