নিজস্ব প্রতিবেদন: সতর্ক থাকতে হবে, আতঙ্কিত হবেন না। করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধায়কে পরামর্শ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার এক ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে করোনা মোকাবিলা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রোনার থাবা; ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে চাকরি হারাতে পারেন ১.৫ লাখ কর্মী, মত বিশেষজ্ঞদের


রাজ্যের অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে 'গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল' তৈরি করা হয়েছে। অর্থনীতির হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করবে এই বোর্ড। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছেন ওই বোর্ডের নেতৃত্বে।


মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অন্য সময় কথা বলতে পারলে বোধহয় ভালো লাগতো কিন্তু এই সময়টা সারা পৃথিবীর জন্যই সত্যি খুব খারাপ সময়। আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে একটা অনুরোধ, যে বাজারগুলো খুলছেন সেখানে সবাই যাতে মাস্ক ব্যবহার করে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে যাতে স‍্যানিটাইজ করা হয় সেটা দেখেন তাহলে খুব ভালো হয়।


অভিজিত্ বাবু আরও বলেন, আপনি লক্ষণ রেখা এঁকে নিয়েছিলেন অনেক সময় সেই লক্ষণ রেখার ওপারে মানুষ চলে যায়। সেখানে যদি ইঁট রেখে দেওয়া যায় তাহলে বোধহয় ভালো হয়। আশা দিদি-দের এক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। তারা এলাকায় ঘোরার সময় যদি দেখতে পারে যে কোনও জায়গায় অনেক মানুষ আছেন এবং তারা কাশছে তাহলে তারা নির্দিষ্ট জায়গায় রিপোর্টিং করবে,। সে ক্ষেত্রে সরকার সেখানে গিয়ে টেস্ট করাতে পারবে।


করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্টানসিং-সহ অন্যান্য ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য একেবারে রাস্তায় নেমে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরেও লকডাউনের সময়ে মানুষ তা বহু জায়গায় মানছে না।বিশেষকরে বাজারে।


আরও পড়ুন-১০৮ জন বিদেশি সহ হজ হাউজে কোয়ারেন্টাইন করা হল তবলিঘি জামাতে যোগদানকারী মোট ৩০৩ জনকে


এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেকটা বাজারের সামনে একটা ব্যবস্থা করা যেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা যাবে। বাজার কমিটিগুলোকে বলবো এটার ব‍্যবস্থা করতে। আমরা একটা মোবাইল অ্যাপ করছি ফিভার সার্ভের জন্য।


অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার না পাওয়া গেলেও যাতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয় তা দেখতে হবে। আমি ঘরে আছি। ভালোই আছি। আপনি বাইরে বের হচ্ছেন। সাবধানে থাকবেন।