Jalpaiguri: তীব্র দাবদাহে নষ্ট হচ্ছে বিঘের পর বিঘে ফসল! শিয়রে খরা-পরিস্থিতি?
Jalpaiguri: অতিরিক্ত গরমে সমস্যায় পড়েছেন ময়নাগুড়ি ব্লক ও জলপাইগুড়ি সদর ব্লক-সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী তিস্তাপারের মরিচবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ জলপাইগুড়ির বহু জায়গায় খেত পুড়ছে।
প্রদ্যুত দাস: অতিরিক্ত খরার কারণে সমস্যায় পড়েছেন ময়নাগুড়ি ব্লক ও জলপাইগুড়ি সদর ব্লক-সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী তিস্তাপারের মরিচবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দপল্লি এলাকার একাংশ কৃষকেরা বলেন, কয়েকদিনের প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে জমিতে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কোথাও কোথাও গরমের তাপদহে ছোট অবস্থাতেই পাট গাছ ঝিমিয়ে পড়ছে। জমিতে জলের অভাবে লঙ্কা, বাদাম পটল, ভুট্টা-সহ বিভিন্ন খেতের ফসলেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাট গাছের মতোই শুকিয়ে যাচ্ছে ভুট্টাখেতও। ফসল রক্ষার জন্য শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে জল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024 | Malda: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও গদাইচর যে-তিমিরে সেই তিমিরেই কেন?
দক্ষিণ বিবেকানন্দপল্লির স্থানীয় কৃষক দিলীপ মণ্ডল বলেন, অতিরিক্ত খরার ফলে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পাট গাছ মরে যাচ্ছে। জলের অভাবে চাষের খেত নষ্ট হতে শুরু করেছে। এজন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে সামান্য হলেও বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন। তা না হলে দিনকয়েকের খরায় ছোট ছোট পাট গাছ পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। পাট চাষের উপরেই নির্ভর করে উত্তরের পুজোর মরশুম। উৎসবের মরশুমে স্থানীয় কৃষকদের বাঁচিয়ে রাখে পাট। এই পাট বিক্রি করেই পুজোর সময় সমস্ত কেনাকাটা করেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা। তাই পাট ভালো না হলে উত্তরবঙ্গের পুজোর বাজার একেবারেই মাটি হয়ে যায়। দক্ষিণ বিবেকানন্দপল্লির অন্য এক কৃষক শঙ্কর সরকার বলেন, শুধু পাট ও ভুট্টা চাষেই নয়, প্রচণ্ড খরা-পরিস্থিতির জন্য সবজি চাষেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত খরার কারণে পাট গাছ যেমন মরে যাচ্ছে, পাশাপাশি ঝিঙে, পটল, করলা, ঢেঁড়শ, কাঁচালঙ্কা চাষের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সেচের প্রয়োজন পড়ছে। তাই এই মুহূর্তে বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন। শুধুমাত্র শ্যালো মেশিন দিয়ে জল সরবরাহ করে জমির পরিস্থিতি বদলানো যাবে না। কারণ, এক খেতে জল দিতে গিয়ে পাশের খেত শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই খুব সমস্যায় পড়েছি আমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি। তা না হলে সব ফসল বাঁচানো যাবে না।
আরও পড়ুন: Ramdev: পতঞ্জলির বহু প্রোডাক্টই বাতিল করল সরকার! এবার কি জেলে যাবেন রামদেব?
ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার জলপাইগুড়ি গোপালচন্দ্র সাহা জানান তীব্র দাবদাহের কারণে সামান্য কিছু কিছু জায়গায় ফসলের অল্প কিছু সমস্যা হলেও হতে পারে। আমাদের কেউ জানায়নি। তবে সেচের জন্য কৃষকদের পাম্প সেট দেওয়া হয়েছে। এখনও খুব বেশি সমস্যার খবর আসেনি। খবর পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।