ওয়েব ডেস্ক: নাম শতদল ধারা। ৪ মাস ধরে চলছে এই নামেরই একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট। এই ইউটিউব চ্যানলে প্রথম 'শিবরাত্রি' উপলক্ষে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়, যেখানে অশান্তি এবং হিংসার উস্কানি দিতে শোনা যায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিকে। নিজেকে হিন্দু দাবি করা এই ব্যক্তির আর কোনও তথ্য এই  ইউটিউব চ্যানলে নেই, কেবল আছে একটি ছবি। মাঝে মধ্যেই লাভ জেহাদ, হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি এবং ইসলাম বিরোধী কথা রেকর্ড করে ওই ইউটিউব চ্যানেলে তা প্রকাশ করতে থাকেন এই শতদল ধারা নামের ব্যক্তি। টুকটাক সেগুলো ভিউ হয়েছে, যা সংখ্যার বিচারে খুবই নগণ্য। এরপর দীর্ঘ দিন ধরে শতদল ধারা নামের ইউটিউব অ্যাকাউন্টটি ইন-অ্যাকটিভই ছিল। তবে বসিরহাটের বাদুড়িয়া কাণ্ডের পর ফের অ্যাকটিভ হতে দেখা গেল এই শতদল ধারাকে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর ১০টি ভিডিও পাবলিশ করেছেন শতদল ধারা এবং ওই ভিডিওগুলো সম্প্রীতি বিনষ্টে ও অশান্তি তৈরিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে। সাবস্ক্রিপশন কম থাকার কারণে, এখনও ভাইরাল হয়নি এই ভিডিওগুলো, তবে ইতিমধ্যেই তা দেখতে শুরু করেছে নেট দুনিয়ার নাগরিকরা। যেখানে একটা ফেসবুক পোস্টে রাজ্যে জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেখানে এই ভিডিও আরও মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জয় শ্রীরাম, হর হর মহাদেব, আমি হিন্দু... এই ধরণের কথা বলার পর শতদল ধারা যে ধরণের ভিডিও বার্তা প্রকাশ করছে তা বারুদে অগ্নি সংযোগের কাজ করতে পারে বলেই আশঙ্কা অনেকের। এমনকি নানান সময়ে ভিডিওগুলোর নিচে কমেন্ট বক্সে বাক্‌ বিতণ্ডাতেও জড়াতে দেখা গিয়েছে শতদল ধারা নামের ওই ব্যক্তিকে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি দীলিপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে, তিনি স্পষ্ট জানান, "কেউ জয় শ্রীরাম, হর হর মহাদেব বলতেই পারে। এতে কোনও দোষ নেই। তবে যে ধরনের কথা ও বলছে, তাতে ওকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত"। হিন্দুত্ব এবং বিজেপির কথা বলে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে শতদল ধারা, এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "রাজ্যে ৪২ লক্ষ কর্মী আছে, কে কী করছে আমি কী করে বলব"। 


বাদুড়িয়া কাণ্ডের পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা পুলিস মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন , "রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে। সরকার যে কোনও রকমের হিংসা এবং অশান্তিকে কড়া ভাবে দমন করবে"। আর সেই জন্যেই ৬০ হাজার বুথে 'শান্তি রক্ষা বাহিনী' গড়ার কথাও বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিস এবং কলকাতা পুলিসের পক্ষ থেকেও শান্তি বজার রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে শতদল ধারা নামের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে এমন উস্কানিমূলক বার্তা, এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।