নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর গতিতে বাংলা ও ওড়িশার দিকে এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমফান। আবহাওয়া দফতরের তরফে এর গতি যে পরিমাণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে তার তুলনা হতে পারে ১৯৯৯ সালে ওড়িশার সাইক্লোনের সঙ্গেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামিকাল বুধবার দুপুরের পর এটি আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপ সহ সুন্দরবন এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনভাবে এটি আঘাত করবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে। প্রথমে হোড, তার পর আই ও শেষ আমফানের টেল আছাড় খাবে ভূ-ভাগে।


রও পড়ুন-ভয়ঙ্কর আমফানের দাপটে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি শুরু দিঘায়, দেখুন ছবি


কেন্দ্রের তরফে সতর্ক করা হয়েছে আমফানের গতি হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটারের বেশি। ফলে প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলির। কাল বারোটার পর বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


১৯৯৯ সালে এরকমই এক সুপার সাইক্লোন তছনছ করে দিয়েছিল ওড়িশার কয়েকটি জেলাকে


সবাই জানত সাইক্লোন আসছে কিন্তু তার গতি যে ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আন্দাজ করতে পারেনি হাওয়া অফিসও। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চাননি।


পাশপাশি, ওড়িশা সরকার উপকূলবর্তি মানুষজনকে সেভাবে সরানোর ব্যবস্থা করেনি। শেল্টার হোমেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেনি। ফলে ক্ষতি হয়েছিল বিশাল।



২৯ অক্টোবর ওড়িশায় পারাদ্বীপে আছড়ে পড়ে ওই ঘূর্ণিঝড়। গতি ছিল ঘণ্টা ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি।


আরও পড়ুন-কিছুক্ষণের মধ্যে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনা- পূর্ব মেদিনীপুরে


প্রবল গতির ঝড় ও অবিরাম বৃষ্টি তোলাপাড় করে দেয় ওড়িশার ৬ জেলাকে। বৃষ্টি হয় টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে। মানুষ পালাবার সুয়োগই পায়নি। সবেমিলিয়ে ক্ষতি হয়েছিল রাজ্যের ১৪ জেলায়।



এখনও পর্য্ন্ত দেশে ওই সাইক্লোনেরই গতি সবচেয়ে বেশি। সরকারি মতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০,০০০ মানুষ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।


রাজ্যে সাড়ে তিন লাখ বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। বহু গ্রাম জলের তোড়ে একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।


মৃত্যু হয় ২ লাখ গবাদি পশুর। ২৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।