নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবারই আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে স্থলভাগের দিকে তেমনটাই জানানো হয়েছিল আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ধামড়াতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)।  চারিদিকে ঘনিয়ে এসেছে অন্ধকার। প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।  কালো মেঘের ঘনঘটায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। Yaas আসার আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ১টি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে ( ১০৭০) ও  Yaas আসার আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, সমস্ত রকম আগাম প্রস্তুতি প্রশাসনের দরফে নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের থেকে YAAS ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক করা হল। 
ঝড়ের মধ্যেও Corona নিয়ে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরা, বার বার হাত পরিস্কার করা, ঝড়েতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার সময় সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে তা জানিয়েছে। এছাড়াও ইয়াসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) আতঙ্কিত হবেন না,ঘূর্ণঝড়ের পাশাপাশি করোনা নিয়েও সতর্ক থাকুন।
২)সংবাদমাধ্যমের সঠিক আবহাওয়ার খবরের দিকে খেয়াল রাখুন।
৩)জরুরি নথিপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী যাতে জলে নষ্ট না হয়ে যায় তা খেয়াল রাখুন।
৪)বৈদ্যুতিক লাইন এবং গ্যাস সরবরাহের মেন সুইচ বন্ধ রাখুন।
৫) ঘরে দরজা, জানলা বন্ধ রাখুন।
৬)ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার ধারালো বস্তুর দিকে খেয়াল রাখুন।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের পাশাপাশি ইয়াস (YAAS) মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে স্বাস্থ্য দফতরও। বিপর্যয়ের মুখে অসুস্থ মানুষের আগাম চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই কয়েকটা ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনাকালে ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর  যেমন- 




১)আজ থেকে শনিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া কাজের 
জায়গা ছেড়ে যেতে পারবেন না কোনও চিকিৎসাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মী


২) ২টি কন্ট্রোল রুম থাকবে, ১টি আইএএস, ডব্লিউবিসিএস


অফিসারদের পাশাপাশি চিকিৎসকদের নিয়ে প্রশাসনিক কন্ট্রোল রুম।



৩) জেলার ছোট ও মাঝারি হাসপাতালগুলির জন্য থাকছে ৫-১৫জন চিকিৎসক।


৪) কলকাতা ও জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির জন্য প্রতিটিতে গড়ে ৭০-৮০   চিকিৎসক।


৫) থাকছে স্টেট হেলথ ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল রুম ( ০৩৩-২৩৫৭৩৬৩৬/ ১০৮৫) এবং অক্সিজেন কন্ট্রোল রুম ( ৬২৯০৬৪৮৭৫৫)।


৬) করোনা চিকিৎসার সব ওষুধ, অক্সিজেন, জ্বর, সাপে কাটা, দুর্ঘটনার চিকিৎসায় 
প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছে।


৭) সব হাসপাতালে  ও মেডিক্যাল স্টোরে দমকল, সিইএসসি/ বিদ্যুৎ দপ্তরের লোক থাকবে।