রাজ্যে বাড়ল দৈনিক মৃত্যু, সামান্য কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কলকাতায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন- টিকা নিয়ে সেরাম কর্তার ঘোষণার পর উদ্বেগ বাড়ার মাঝেই সামান্য স্বস্তি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে। সামান্য কমল দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫১৫। সোমবার তা কমে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৫০১। যদিও রবিবার দৈনিক মত্যুর সংখ্যা হয়েছিল ৯২। সোমবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৯৮।
শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫১২। রবিবারের রিপোর্ট, নতুন করে সংক্রমণের কবলে পড়েছেন ১৭ হাজার ৫১৫ জন। বৃদ্ধি হয়েছিল সামান্যই। সোমবার অবশ্য তা সামান্য কমে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৫০১। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কলকাতায়। ৩৯৯০ জন আক্রান্ত কলকাতায়। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৯৬৫। শনিবার করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ১০৩ জনের, সোমবারে তা বেশ খানিকটা কমে হয় ৯২ জন।সেকানে সোমবারে তা বেড়েছে বেশ খানিকটা, ৯৮ জন প্রাণ হারালেন। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখেও তালিকায় শীর্ষে সেই উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। পিছিয়ে নেই কলকাতা, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২১ জন।
আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের পর থেকেই দফায় দফায় হামলা, খানাকুলে পিটিয়ে খুন TMC কর্মীকে
এদিকে করোনা সতর্কতায় ইতিমধ্যে আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে রাজ্যে। শনিবার আবার বিয়েবাড়ি ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে জমায়েতে রাশ টেনেছে সরকার। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিয়েবাড়ি ও অন্যান্য পরিবারিক অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে। অতিথির সংখ্যা থাকতে হবে ন্যূনতম। কোনও সময়ে ৫০ জনের বেশি অতিথি থাকবেন না। সকাল ৭টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার-হাট। তবে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা, বিদ্যুৎ, টেলিকম, যানবাহন, মুদি খানা, মিষ্টির দোকান, মাংসের দোকান, দুধ সরবরাহ ইত্যাদি দোকান বিধিনিষেধের বাইরে থাকছে। তবে সমস্ত খুচরো ও আউটলেটকে বেঁধে দেওয়া সময় মেনে চলতে হবে। সব ক্ষেত্রেই মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক।