ম্যাসেজ পার্লারের আড়ালে দেহ ব্যবসা! জড়িয়ে গেল তৃণমূল নেতা
ডানকুনি: নামেই ম্যাসেজ পার্লার, আদতে দেহ ব্যবসার আঁতুড়ঘর। ডানকুনির ম্যাসেজ পার্লারে কাজ করতে এসে গ্রাহকদের কাছে যৌন হেনস্থার শিকার হলেন দুই থেরাপিস্ট। পার্লারের মালিকককে বিষয়টি জানালে মালিক কোনও আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে অভিযোগকারী দুই থেরাপিস্ট এবং পার্লার ম্যানেজারকে কাজ থেকে তাড়িয়ে দেন। বকেয়া চাইতে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও নাকি করেন ম্যাসেজ পার্লারের মালিক মিঠু বেগম। এরপরপই ডানকুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করা ওই দুই থেরাপিস্ট। এরপরও কোনও কাজ না হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হন তারা। থেরাপিস্টের বকেয়া আদায় করতে ডানকুনি টাউন তৃণমূল সভাপতি সুমিত গাঙ্গুলির নেতৃত্বে চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল, এমনই অভিযোগ পার্লার মালিকের। এরপরই ডানকুনি থানায় তৃণমূল নেতা সুমিত গাঙ্গুলি সহ ৮ মহিলা তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পার্লার মালিক মিঠু বেগম।
ম্যাসেজ পার্লার মালিকের অভিযোগ, 'পার্লারে এসে ফ্রিতেই পরিষেবা পেতে চায় তৃণমূল নেতারা। সেটা না দেওয়াতেই পার্লারে এসে চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা'। মিঠু বেগমের আরও অভিযোগ, তাঁর মেয়ের জামাকাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম না করে মিঠু বেগম এবং তাঁর মেয়ের দাবি, 'আমাদের পার্লারে বেআইনি কিছু হয় না। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের ব্যবসার বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে'। এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, 'ম্যাসেজ পার্লারের নামে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন অভিযুক্ত। কুকীর্তি সামনে আসতেই এখন ভালো সাজার চেষ্টা করছে পার্লার মালিক'।