ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পাহাড়কে সামাল দিতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার। কোনও ভাবেই যাতে পাহাড়ে নতুন করে উত্তাপ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। এর আগে কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা রুখতে নেট পরিষেবা বন্ধ করার ঘটনা খবরে এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশেষ সূত্রের দেওয়া খবর অনুযায়ী, গতকাল থেকেই পাহাড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, কাজ করছে না ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপ। উল্লেখ্য, আজই বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে পাহাড়বাসীদের উদ্দেশ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথা মানতে নারাজ মোর্চা নেতৃত্ব এবং সমর্থকরা। বরং জঙ্গি আন্দোলনের পথে আরও এগানোর ইঙ্গিত দিয়েছে মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব। 


শনিবার, পুলিসের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয় চার মোর্চা কর্মীর। মোর্চা নেতাদের দাবি, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। তবে পুলিসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং বিক্ষোভকারীরাই গুলি চালিয়েছে বলে পুলিসের দাবি। ওই তিন মৃত কর্মীর শব নিয়ে মিছিলও করে মোর্চা সমর্থকরা। পাহাড়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছে রাজ্য। যত দিন যাচ্ছে, পাহাড়ের পরিস্থিতি জটিল থেকে আরও জটিল হচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। বাম-বিজেপি এবং কংগ্রেস অবশ্য সরকারকে আলোচনার মধ্যেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য 'উপদেশ' দিয়েছে। কিন্তু সেই পথে কি আদৌ হাঁটবে সরকার, প্রশ্ন অনেকের মনেই! এমন অবস্থায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব তা সময়ই বলবে।


এদিকে, সম্প্রতি ভূ-স্বর্গে সেনা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্ঘর্ষে বিপন্ন হয়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার সহ আরও সোশ্যাল মাধ্যামকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেনার দাবি এতে কিছুটা হলেও পরিস্থতি আয়ত্তে আনা গিয়েছে। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও 'হিংসার উস্কানি' যাতে কোনও ভাবেই প্রভাব না ফেলতে পারে তাই শৈল শহরকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল ইন্টারনেটের দুনিয়া থেকে। এবার সেই একই রকম পথে হাঁটল সরকার। দার্জিলিংয়ে 'গোর্খা'দের ঠেকাতে তাই ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত, পাহাড়ে চলছে না ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপ।