নিজস্ব প্রতিবেদন:  সুদূর গ্রামে মারা গিয়েছে সন্তান, খবর পেয়েও ফিরতে পারছেন না পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি। একপ্রান্তে আটকে মা অনিতা দেবী, অন্য রাজ্যে বাবা। কাটোয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির ছাউনির মাঠে বসেই বাড়ি ফেরার জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন সন্তান হারা মা। তবে কান্নাই সার। সকাল থেকে সন্তান শোকে কান্নাকাটি করলেও ঘরে ফেরার ব্যবস্থা কে করবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। সমস্যায় পড়েছে লকডাউনের জেরে কাটোয়ায় আটকে পড়া বিহারের মুঙ্গের থেকে আসা শ্রমিক অনিতা দেবী।  লকডাউনের জেরে পূর্ববর্ধমানের পূর্বস্থলীর লক্ষীপুরে কাজে এসে আটকে রয়েছেন বিহারের ভাগলপুর, মুঙ্গের ও বাঁকা জেলা থেকে  আসা ১৬০ জন শ্রমিক। কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সেসব শ্রমিকের ঠাঁই এখন কাটোয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির ছাউনিতে। 


আজ সকালে অনিতা দেবীর বাড়ি মুঙ্গেরের তাড়ি গ্রাম থেকে তাঁর কন্যা সন্তান আরতি কুমারীর (১৫) মৃত্যু সংবাদ আসে। অনিতা দেবীর দাবি তার মেয়ে সুস্থ  ছিল। শুধু মা কবে বাড়ি ফিরবে এই চিন্তায় অসুস্থ হয়ে আজ সকালে  বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে তার। অনিতার স্বামী পাঞ্জাবের  হরিয়ানায় কোন এক গ্রামে কাজে গিয়ে লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছে। বাড়িতে ১৫ বছরের আরতি ছাড়াও আরও দুটি শিশু কন্যা আছে। তাদের কী হবে, কে দেখবে এই চিন্তায়  বাড়ি ফিরতে চাইছে অনিতা দেবী। কাটোয়ার পুরপ্রধান অনিতা দেবীকে বাড়ি ফেরাবার উদ্যোগ নিয়েছে।