চিত্তরঞ্জন দাস: মাস দুয়েক ধরে মেয়ের কাছেই ছিলেন ৭০ উর্দ্ধ বৃদ্ধা মায়ারানী বাগদি। সেই মেয়েই টোটোতে চাপিয়ে মাকে ছেড়ে দিয়ে পালাল দাদার বাড়ির সামনে। মাকে দেখেও বাড়িতে জায়গা দিল না ছেলে, মা বসে আছে দেখেও ডেকে বাড়িতে ঢোকাল না গুনধর ছেলে আর বৌমা। সারারাতই কাটল চেয়ারে বসে গাছতলায়, এমনকী খেতেও পেলেন না সারাদিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Burdwan BDO pre-wedding ceremony: দফতরেই আইবুড়ো ভাত, প্রণাম তৃণমূল নেত্রীকে... 'বড় বিপদে' পড়লেন বিডিও!


শুক্রবার সকালে অন্ডালের উখড়ার চনচনি এলাকায় এই ঘটনা এলাকাবাসীরা প্রত্যক্ষ করতেই শুরু হয় নিন্দার ঝড়। ঘটনাস্থলে পৌঁছাল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মায়ারানি বাগদির তিন ছেলে আর এক মেয়ে। দুই ছেলে ইসিএল কর্মী ছিলেন আর এক ছেলে সুবোধ বাগদি একটি দোকানের কর্মী আর এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে জামুড়িয়া এলাকায়। কিছুদিন আগে মাকে মেয়ে অঞ্জনা বাগদি তাঁর শ্বশুরবাড়ি জামুরিয়ায় নিয়ে যান। 


 



মায়ারানী বাগদির দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় মেয়ে টোটোতে চাপিয়ে সুবোধের বাড়ির সামনে গাছতলায় একটি চেয়ারে বসিয়ে রেখে চলে যায়। চেয়ারে বসে না খেয়ে সারা রাত কাটাতে হয়েছে বলে দাবি অঞ্জনদেবীর। বৌমা ভারতীর দাবি,"আমরা বের করিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ ননদ আর ভাসুরের মেয়ে মিলে আমাদের বাড়ির বাইরে শাশুড়িকে নামিয়ে চলে যায়। আমাদের বলেও যায়নি বাড়ি ঢোকানোর জন্য। সারারাত খাইনি তো কি হয়েছে, আমাদের তো বাড়ি ঢোকানোর জন্য বলেনি ননদ। সেই জন্যই আমরা বাড়িতে নিয়ে আসিনি'। 


আরও পড়ুন- Shakib Khan: মিমিকে পাশে নিয়ে কলকাতায় 'তুফানি' মেজাজে শাকিব, পাত্তাই দিলেন না অপু-বুবলীকে...


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অন্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে জায়গা পান অঞ্জনা দেবী। তবে ছেলে বউমা ও মেয়ের এহেন ব্যবহারে অবাক এলাকাবাসী। এই অমানবিক ঘটনায় নিন্দায় সরব প্রতিবেশীরা। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)