টানা ৩৬ ঘন্টা ধরে পড়ে `করোনা` মৃতদেহ, ধরেছে পচন, একঘরে পরিবার
গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে ঘরের মেঝেতে পড়ে `করোনা আক্রান্ত` এক ব্যক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে ঘরের মেঝেতে পড়ে 'করোনা আক্রান্ত' এক ব্যক্তি। তাঁর সত্কার তো দূরস্ত গোটা গ্রাম ওই মৃতের পরিবারকে এক ঘরে করে রেখেছে। এমনই অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার ইটখোলা অঞ্চলে।
করোনাতে মৃত্যু হয়েছে এই সন্দেহে সঞ্জিত নস্কর নামে এক ব্যক্তির মরদেহ ঘরের মেঝেতেই পড়ে আছে প্রায় ৩৬ ঘন্টার উপর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় এক বেসরকারি সংস্থা সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন সঞ্জিত নস্কর। এরপর শরীর অসুস্থ হওয়ায় কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসেন তিনি। এই করোনা আবহে বাড়িতে থাকতেন সঞ্জিত। গত রবিবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন:গোরুর দুধে সোনা আর গোমূত্র নিয়ে কথা বললে বাঙালির মন পাওয়া যাবে না, দিলীপকে কটাক্ষ তথাগতর
প্রতিবেশীদের সন্দেহ করোনাতেই মারা গিয়েছেন তিনি। গ্রামের কোনও শ্মশানেই ওই দেহ সত্কার হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুলিস এসে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোন ফল হয়নি বলে জানা যায়। উল্টে ক্যানিং থানার পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে।
এদিকে মৃতদেহতে পচন ধরেছে। এতে এলাকা আরও দূষিত হওয়ার আশঙ্কা। সোমবার সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সঞ্জিতের মৃতদেহ একইভাবে ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। শেষমেশ সিভিক ভলিন্টিয়ার মারফত ক্যানিং থানার পুলিস মৃতদেহ সত্কারে উদ্যোগী হয়েছে।