রণজয় সিংহ: সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রীর ছাত্রী। গভীর রাতে একটা ফোন এসেছিল। তার পর সকালে মিলল মৃতদেহ। ওই ঘটনায় চাঞ্চল ছড়িয়েছে মালদহের কালিয়াচক থানার উজিরপুর গ্রাম। মৃত ছাত্রীর বাড়ি পুরাতন মালদার নবাবগঞ্জের দত্তপাড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিধায়ক তাপসের উপরে দুর্নীতির পাহাড় চাপিয়েছিলেন, ৪ দিনের মাথায় পাল্টি তাঁর আপ্ত সহায়কের 


মৃত ছাত্রীর দিদি পূর্ণিমা মণ্ডল বলেন, একটা ছেলের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলতো। কাল ছেলেটা নাকি ফোন করে বলেছিল, আমি বিষ খেয়ে নিচ্ছি। তুমি তাড়াতাড়ি এসো। মোহদিপুরে যেতে বলেছিল। ওই কথা সোনামনি বাড়িতে বলেছিল। বাড়ি থেকে বলা হয় যেতে দেওয়া হবে না। ছেলেটা ফোন করে বলেছে তুমি যদি না আসো তাহলে জীবন দিয়ে দেব। শেষপর্যন্ত বাড়ি থেকে দুশো টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিল। তার পর থেকে ওর খোঁজ ছিল না। রাত বারোটা একটার দিকে ফোন করে ওই ছেলেটা। সেই ফোন থেকে সোনামনি বলে সকালে বাড়ি ফিরব। কোথায় গিয়েছিল জিজ্ঞাসা করা হলেও বলেনি, ফোন কেটে দেয়। সকালে বেলায় মোবাইলে ছবি এল মৃতদেহের। মনে হচ্ছে কেউ মেরে ফেলেছে। যে মেরেছে তার ফাঁসি চাই।


মঙ্গলবার সকালে :ছাত্রীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় আকন্দবেড়িয়ায় একটি ঝিঙের জমিতে। খবর আসতেই বাড়ির লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির লোকজন। মৃত ছাত্রীর বাড়ি ছুটে যান মালদহের আইসি। পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে আসপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। মৃত ছাত্রীর বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা। ময়ে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটাল তা ভেবে উঠতে পারছেন না তিনি।


গত ২৯ মার্চ আসানসোলে উদ্ধার হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর মৃতদেহ। হীরপুরের নিউটাউনের একটি রাস্তার পাশে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষজন। মৃত ছাত্রীর বাবা লক্ষ্মী নারায়ণ হাঁসদা বলেন, সোমবার সন্ধে ৭টায় বাডি় থেকে বেরিয়ে যায় কোয়েল। আর কোনও খবর ছিল না। ফোন সুইচড অফ ছিল। হীরাপুর থানার নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন লক্ষ্ণী নারায়ণবাবু। তাঁর দাবি, আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীরা শাস্তি চাই। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)