দিব্যেন্দু সরকার: আরামবাগ পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের  এনায়েত পল্লীতে বাড়ির ভিতর জীবিত একরত্তি শিশু কোলে এক গৃহবধুর রক্তাক্ত দেহ  উদ্ধার হল। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ওই গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্য ভাবে মৃত্যু তার  সমস্ত টাই খতিয়ে দেখছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রামের আপত্তি না হলে রহমানের কেন? কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে যোগীকে সমর্থন রামদেবের


রবিবার বিকালে এই ঘটনায় পাড়ার লোকজনও হতবাক হয়ে যায়। কীভাবে এই মৃত্যু তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে ও রক্তাক্ত ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে শিশুটিকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে মৃতা ওই গৃহবধূর নাম সাবিনা বেগম(২৭)।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানাকুলের কাছড়া চৌমাথা এলাকার মাইনান গ্রামের বাসিন্দা সাদেক আলী খানের মেয়ে সাবিনা বেগম। তার বিয়ে হয় পশ্চিম মেদনীপুর জেলার জোতকানুরামগড়ে বছর ১২ আগে।পারিবারিক অশান্তির কারণে  স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। তার পর থেকে আরামবাগ এনায়েত পল্লীতে ভাড়া থাকতেন সাবিনা। এখানেও এক জনকে বিয়ে করেছিলেন বলে জানান তার এক আত্মীয়।


রবিবার সকাল থেকেই তার ঘরের প্রধান দরজা  বন্ধ ছিল।কিন্তু দরজার  বাইরে রক্ত দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছায়। পুলিস দরজা  খুলেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছেন ঐ  গৃহবধূ সাবিনা। তার কোলে একটি জীবিত শিশুকন্যা। সেও রক্তাক্ত। পুলিস শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আর ঐ গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। স্থানীয় এলাকার মানুষ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও এটা  খুন বলেই মনে করছেন তারা।তবে এর পিছনে কি রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমেছে আরামবাগ থানার পুলিস।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)