তন্ময় প্রামাণিক: সামনে ফের মৃত্যু ফাঁদ! সরকার ও মানুষকে সতর্ক করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। করোনা শ্বাসতন্ত্রকেই আক্রমণ করে, তার ওপর বাজির ধোঁয়ায় বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়লে তা প্রাণঘাতী হতে পারে মানুষের জন্য। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের আর্জি কালীপুজো-দীপাবলিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হোক বাজি-আতসবাজি-পটকা। এই পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ সম্পূর্ণ না আটকাতে পারলে কোভিড আক্রান্তদের মৃত্যু বাড়বে লাফিয়ে, অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী-প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছেন পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ "জয়েন্ট প্লাটফর্মস অফ ডক্টরস"। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চসহ একাধিক বিজ্ঞান সংগঠনও আবেদন জানিয়েছে। কালীপুজোর মরশুমে বাজি, পটকা পুড়লে পাশাপাশি পুড়বে করোনা আক্রান্ত ফুসফুসও! করোনায় মূলত আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুস। আর তাতেই বিপত্তি বাঁধছে একাধিক ক্ষেত্রে। 


আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার কারুকার্য করা বহুমূল্যের হাতির দাঁত, আটক মহিলা


আগামী দীপাবলি বা কালি পুজোতে বাজি পটকা আতসবাজি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ না করলে মৃত্যুর হার কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে এ রাজ্যের একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। একই আশঙ্কা পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও বিভিন্ন বিজ্ঞান সংগঠনের। এ নিয়ে সরকারের কাছে যৌথ আবেদনপত্র পাঠিয়েছে পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের জয়েন্ট প্লাটফর্মস অফ ডক্টরস। আবেদন জানিয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চের-সহ একাধিক বিজ্ঞান সংগঠন। আতসবাজি নিষিদ্ধের দাবিতে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন আইনজীবীদের একাংশ।


পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯ সালে এই দেশে প্রায় ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বায়ু দূষণ জনিত কারণে। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বইসহ গোটা দেশজুড়ে দূষণের মাত্রা বেড়ে চলায় ভুক্তভোগী গোটা দেশই। কালীপুজোর সময় দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এ বছর কার্যত গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া। করোনার কোপে এমনিই ধুঁকছে দেশ, তার ওপর দূষণ দোসর হলে পরিস্থিতি যে মারাত্মক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 


অন্যদিকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক মাসে এ রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬,৭৮৪ জন। আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৬৫ হাজারেরও বেশি। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ৪৫,৯২১,৬৯৮। মৃত্যু ১,১৯৩,৯০৯। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই ভয়াবহ। করোনায় ফুসফুস সংক্রমিত হয়েই এ পর্যন্ত বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে। তাহলে কি চলতি বছর নিষিদ্ধ হবে আতসবাজি, পটকা ইত্যাদি? কী পদক্ষেপ করবে প্রশাসন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে চিকিৎসক মহল। তাঁরা বলছেন সরকারের পদক্ষেপের ওপরেই নির্ভর করছে মৃত্যুর হার।