Dengue: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বৈদ্যবাটির কিশোরীর, হুগলিতে মৃত বেড়ে ৯
জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে। এলাকাবাসী পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে আছে।
বিধান সরকার: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু রাজ্যে। ফের মৃত্যু হুগলিতে। এবার ডেঙ্গিতে প্রাণ হারাল হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা এক নাবালিকা। মৃতার নাম কায়ানাত পারভিন। বয়স ১৫ বছর। বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল কায়ানাত পারভিন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে তাকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই মৃত্যু হয় তার।
এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের ঘটনায়, এলাকাবাসী পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থার ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ নেই। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে আছে। পরিষ্কার ঠিকমতো হয় না। মশা নিধনের ক্ষেত্রেও প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা। প্রসঙ্গত, গত বুধবারই উত্তরপাড়ার এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। এবার বৈদ্যবাটিতে এক নাবালিকার মৃত্যু হল ডেঙ্গিতে। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি সংক্রমণের জেরে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছে হুগলিতে। জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে। ওদিকে বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরীর।
উল্লেখ্য, বাংলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে রাজ্য-কেন্দ্র দ্বৈরথ। শুক্রবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় ভেক্টর কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে গত মে মাসে শেষ তথ্য দিয়েছিল রাজ্য। সেখানে ২৩৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এই সংখ্যাটা বর্তমানে পৌঁছে গিয়েছে ৫২০০০-এর উপরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তিনি দেখেছেন যে রাজ্যর তরফ থেকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্যই আর দেওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকারকে।
তিনি বলেন, 'কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে রাজ্যকে ক্রমাগত দিক নির্দেশ দেয়। তাদের ভেক্টর বোর্ণ ডিজিজ কন্ট্রোল এই বিষয়ে কাজ করে। কিন্তু আপনাদের মাধ্যমে আমি জানাতে চাই যে রাজ্য সরকারের এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে তথ্য দেওয়া উচিত। আমাদের পোর্টালে সব রাজ্য থকে ফিডব্যাক আসে। আমাদের বার বার বলার পরেও পশ্চিমবঙ্গ এই বিষয়ে কোনও রিপোর্টিং করেনি। আমি আমাদের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য আবার রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করছি যাতে তারা দ্রুত ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য সামনে নিয়ে আসে।'