নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসলামপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোটা জেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের পুলিসের গুলিতে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তনীর। শুক্রবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু হয় আরেক প্রাক্তনী তাপস বর্মনের। এই ঘটনার অন্তর্তদন্তে নেমে এবার সামনে এল একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফুটেজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখুন, সেই ভিডিওটি-



কী দেখলেন?
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জেলা স্কুল পরিদর্শক রবীন্দ্র কুমার মণ্ডলের হাতে মাইক। তিনি মাইক হাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আশ্বাস দিচ্ছেন যে, অবিলম্বে স্কুল থেকে উর্দু শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যে যে বিষয়ের শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে। সেগুলি পূরণ করা হবে। মৌখিক আশ্বাসের পর ছাত্রছাত্রীদের লিখিত আশ্বাসও দেওয়া হয়।



এই চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসে স্কুলের পরিচালন সমিতি। সেই বৈঠকে পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, অবিলম্বে উর্দু ও সংস্কৃত বিষয়ের জন্য যে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হবে। কারণ, ওই স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কোনও উর্দু ও সংস্কৃত শিক্ষকের পদ নেই।  সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিআই রবীন্দ্র কুমার মণ্ডলও। ডিআই ও বিডিওর উপস্থিতিতেই শিক্ষক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।   


কিন্তু তার পরদিন-ই স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ হতে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিতর্ক। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ডিআই রবীন্দ্রকুমার মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিন ভিডিও ফুটেজ সামনে আসতেই ফের একবার কড়়া ভাষায় সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যা। তাঁর স্পষ্ট কথা, শিক্ষক সংরক্ষণ নীতি ডিআই ঠিক করতে পারেন না। তাঁর কোনও অধিকারই নেই। এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিত কুণ্ডুর ভূমিকারও আতস কাঁচের তলায় বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন, রাজ্যের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস' পালন করা হবে না : পার্থ


তোপ দাগেন, ইসলামপুরের ঘটনায় আরএসএস-এর ইন্ধন রয়েছে। আরএসএস-এর উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর রাজনীতি করছে আরএসএস। স্কুলে গন্ডগোলের ঘটনায় বহিরাগত যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দাবি করেছেন, মিথ্যা অভিযোগ করছেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দাঁড়িভিট হাইস্কুলে পূর্ণ সময়ের শিক্ষক ১৩ জন। আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। আর ৪ জন আছেন কম্পিউটার শিক্ষক।