নকিব উদ্দিন গাজি: রবিবার এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীতে তলিয়ে যায় ২ শিশু। বেড়াতে এসে দুই সন্তানকে হারায় ছত্তীসগড়ের এক দম্পতি। ঘটনার পর থেকেই তল্লাশি শুরু করে এনডিআরএফ ও পুলিস। তার পর থেকে টানা ৪০ ঘণ্টা নদী তোলপাড় করে আজ দুপুরে উদ্ধার হয় বড় বোন আতিফা পারভিনের(৮) দেহ। পরে উদ্ধার হয় ছোট বোন সিতারা নাজ (৫) মৃতদেহ। তল্লাশিতে নেমে পুলিসের কাছে খবর আসে একটি শিশুর দেহ ভাসছে হলদিয়া সংলগ্ন এলাকায়। ওই খবর পাওয়ার পরই  লাইফ বোট ও লঞ্চ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে এনডিআরএফ ও পুলিস। ওই দেহ সনাক্ত করে মৃতের পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আইসিসি-তে যাচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বড় মন্তব্য করলেন তাঁর প্রথম অধিনায়ক আজহার 


ওই দেহ উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে আসার পর ফের একটি দেহ উদ্ধার হয় প্রায় একই জায়গা থেকে। আপাতত মৃতদেহ দুটি রাখা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুলিস মর্গে। মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে  শিশুটির দেহ উদ্ধার করে আনে এনডিআরএফ।


উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধেয় ডায়মন্ড হারহার ফেরিঘাটে ভেসেল থেকে নামার সময় হুগলি নদীতে পড়ে যায় আতিফা পারভিন ও সিতারা নাজ। নদীতে সেসময় ভাটার টান এতটাই ছিল যে মুহূর্তই দুটি শিশু তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে একজন ঝাঁপ দিলেও শিশু দুটির কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়েই চলে আসেন প্রশাসনের কর্তারা। কাজে লাগানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কুমার ও অ্যডিশনাল এসপি পলাশ কুমার ঢালি।



ওই শিশু দুটির বাড়ি ছত্তীসগড়ে। পরিবারের সঙ্গে কলকাতার তোপসিয়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে তারা বেড়াতে এসেছিল। সেখান থেকে মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার ঘুরতে আসে। রবিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার ফেরিঘাট থেকে লঞ্চ চড়ে পরিবারটি শিশুদের নিয়ে কুমড়োহাটিতে যায় বিকেল চারটে নাগাদ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে সন্ধে সাতটা নাগাদ ভেসেলে চড়ে ডায়মন্ড হারবারে ফেরে।


শিশু দুটির পরিবার সূত্রে খবর, ফেরিঘাটে একটি খালি ভেসেল দাঁড়িয়ে ছিল। যে ভেসেলটি চড়ে তাঁরা কুমড়োহাটি থেকে ফিরছিলেন সেটি এসে ওই ভেসেলের গায়ে এসে থামে। সাধারণভাবে দুটি ভেসেলে যাতে জোরাল ধাক্কা না লাগে তার জন্য দুটি ভেসেলের মধ্যে টায়ার দেওয়া থাকে। স্বভাবতই তাতে একটি ফাঁক তৈরি হয়। এদিন কুমড়োহাটি থেকে ভেসেলটি ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ভেসে এসে ঠেকার পর সবাই নামতে যায়। শিশু হওয়ায়  লম্বা পা ফেলতে পারেনি এক শিশু। দুটি ভেসেলের সে মধ্যে গলে যায়। তাকে ধরতে দিয়ে পড়ে যায় তার ৮ বছরের দিদিও। এক নিমেষে পরিবারের লোকজনের সামনেই নদীতে তলিয়ে যায় ২ শিশু।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)