অরূপ লাহা: বাংলা খাও, জয় বাংলা বলো; আর বিরোধীদের ঝাণ্ডা খোলো, মমতা ব্যানার্জির এই কালচার বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে শাঁখারীপুকুর বিবেকানন্দ সেবক সংঘের মাঠে যান বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তারপর চা চক্র অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ওনার ভাষা তো আমরা মুখস্থ করেছি, উনিই তো আমাদের টিচার। কী করে ভদ্রলোকেদের অপমান করতে হয়, কী করে বড় নেতাদের নাম নিয়ে বড় নেতাদের অপমান করতে হয় উনিই তো শিখিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার রাজনীতিকে বদনাম করেছেন উনি। বাঙালীকে বদনাম করেছেন উনি। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কীভাবে কেস দিতে হয়, শায়েস্তা করতে হয় উনি শিখিয়েছেন। এই নিয়ে দলের নেতাদের উনি ট্রেনিং দিয়েছেন। বর্ধমানের এমএলএ, ভাতাতের এমএলএ-কে দেখুন কীভাবে চোর, গুন্ডা, বাটপার তৈরি হয়েছে’।


আরও পড়ুন: Truck Fire at Farakka Barrage: সাতসকালে অগ্নিকান্ড ফারাক্কা ব্যারেজে, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ


দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘ওনার ভাষাতেই ওনাকে উত্তর দেব’। তিনি আরও বলেন, ‘উনি চাকরি দেননি, চাকরি বিক্রি করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার রেশনে চাল দেয়, ডাল দেয়, গ্যাস দেয় উনি তা বিক্রি করে দেন। যেমন, এসএসসি-তে শিক্ষা দফতর চাকরি বিক্রি করেছে’।


তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ নিদান দেন, ‘যে সমস্ত তৃণমূল নেতা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছিলেন তাদের কলার ধরে টাকা ফেরত নেওয়া হবে। যাদের চাকরি গিয়েছে তারা সামনে এসে বলুন বিজেপি কর্মীরা বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড় করাবে’।


সোমবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘হাইকোর্টের উচিত ছিল ভুল সংশোধনের সুযোগ দেওয়া’।


এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘উনি কেবল ভুলই করে যাবেন। একজন ৭০-৭৫ বছরের মহিলা সারা জীবন ভুলই করে যাবেন। কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন চোখ রাঙিয়েছেন আর ধরা পড়ে গেলে ভুল’।


আরও পড়ুন: Bengal News LIVE Update: আদালতের ধাক্কায় চাকরিহারা ২৬ হাজার শিক্ষক, আজই সুপ্রিম কোর্টে কমিশন


পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যতদিন না রাজ্য সরকার হিসাব দেবে ততদিনে আটকে থাকা টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেবে না। চোরেদের এক পয়সাও দেওয়া হবেনা’।


এসএসসির রায় নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘কোর্টে যেতে যেতেই বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে পার্মানেন্ট ভাবে বিদায় দিয়ে দেবে। প্রয়োজন পড়লে বিজেপির নেতারা স্কুলে গিয়ে পড়াবে, তাহলে আর যাই হোক তৃণমূলের মত এরকম চোর নেতা তৈরি হবে না’।


অনুব্রত মণ্ডলের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘কেষ্ট ছাড়া পাবেন না। মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই বলছেন কেষ্ট ছাড়া পাবে, কেষ্ট ছাড়া পাবে, বরং অনুব্রতর সঙ্গে আর কে কে যাবে তার লিষ্ট তৈরি হচ্ছে’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)