নিজস্ব প্রতিবেদন : যাওয়ার অনুমতি নেই। এই কারণ দেখিয়ে শনিবার সকালে বারুইপুর যাওয়ার পথে দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিস। আমফান বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এদিন একাধিক কর্মসূচি ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। প্রথমে যাচ্ছিলেন বারুইপুর। তখনই ঢালাই ব্রিজের উপর দিলীপ ঘোষের কনভয় আটকায় পুলিস। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষও বেঁধে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানায়, করোনার জেরে লকডাউন চলছে। তাই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী যাওয়ার অনুমতি নেই। গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যেতে বলা হয় দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন দিলীপ ঘোষ। আটকানো অবস্থাতেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন গাড়ির ভিতর। যেকোনও ভাবেই তিনি বারুইপুর যাবেন বলে জানান পুলিসকে। 



এদিকে দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকাতেই পাল্টা রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরই আসরে নামে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করতেই ঢালাই ব্রিজে পাল্টা জমায়েত করতে শুরু করে তৃণমূলও। সবমিলিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। সংঘর্ষের জেরে উভয় পক্ষেরই একাধিক কর্মী জখম হন। 







শেষে পুলিস দু-পক্ষকেই হঠিয়ে দেয়। বারুইপুর যেতে না পেরে, গাড়ির মধ্যেই ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করে ফিরে যান দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন, কলকাতা থেকে জেলা, আমফান তাণ্ডবের ৪দিন পরেও বিদ্যুৎ-জলের জন্য হাহাকার, জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ