মহাভারত-ই শিখিয়েছে হিংসার জবাব হিংসায় দিতে : দিলীপ ঘোষ
`বিজেপি ছাড়া আর সব দলই সাম্প্রদায়িক। তারা তোষণের রাজনীতি করে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : হিংসার জবাব হিংসা দিয়েই দিতে হয়। আর এই শিক্ষা রামায়ন, মহাভারত-ই আমাদের শিখিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জি ২৪ ঘণ্টা-র মুখমুখি হয়ে সাম্প্রদায়িকতা থেকে অস্ত্রমিছিল, বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে খোলামেলা জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, কোনওরকম চাপে নেই তিনি। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের প্রতি জেলায় একদিন করে সফর করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় তাঁর সফর শুরু হবে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পঞ্চায়েতের ব্যালট যুদ্ধে জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী তিনি। তিনি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলছেন বিজেপি কর্মীরা। তিনি নিজে ছোট ছোট সভা করছেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। আর তা থেকে এটা জলের মত পরিষ্কার যে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শতাংশের বিচারে বিজেপির ভোট তৃণমূলের ভোটকে ছাপিয়ে যাবে। ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে বিজেপি।
তবে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে, একথা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপি ছাড়া আর সব দলই সাম্প্রদায়িক। তারা তোষণের রাজনীতি করে। কিন্তু বিজেপির কাছে সবাই সমান। সবাই এই দেশের নাগরিক। সবার উন্নয়নের কথা ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই এই মুহূর্তে বাংলায় তৃণমূলের যোগ্য বিকল্প একমাত্র বিজেপি। ২০১৬ লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি পেয়েছিল ২৩ শতাংশ ভোট। সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেই তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রতিমুহূ্র্তে বিজেপির উপর আস্থাজ্ঞাপনকারী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে, আস্থা খুইয়ে জমি হারাচ্ছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, বৃহস্পতিবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, সুস্পষ্ট হবে ভোটের নিরাপত্তা চিত্র
দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে নির্বাচনে হিংসা নতুন নয়। কিন্তু এবার মনোনয়ন পর্ব থেকেই হিংসার খেলায় মেতে উঠেছে শাসকদল। এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। একইসঙ্গে স্পষ্ট জানান, কেউ যদি অস্ত্র হাতে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, সন্ত্রাস ছড়ায়, তবে তাদেরকেও হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। হুঁশিয়ারি দেন, "হিংসার পাল্টা একমাত্র হিংসাতেই হয়।"
বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাফ বক্তব্য, রামনবমীর দিন অস্ত্র হাতে মিছিল করে তিনি কোনও ভুল করেননি। এমনকি 'রাম'কে যাঁরা মানেন না, তাঁদের এদেশে বসবাসের অধিকার নেই। আরও বলেন, রাজ্যের মানুষের প্রতি অন্যায়-অবিচার হচ্ছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। তারা যদি প্রতিবাদ না করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আরও ভূলুণ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন, হাইকোর্টে ৩ অস্ত্রে শাসককে ঘায়েল করার কৌশল বিজেপির
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, প্রতিবাদের স্বার্থেই "লড়াই শ্মশান অবধি নিয়ে যাওয়া"র কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা। শান্তি দিয়ে ইতিহাসে কেউ 'যুদ্ধে' জেতেনি। আর তাই অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।