নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা ছিলই। সেই জল্পনাকেই ফের উসকে দিল আরও একটি ঘটনা। বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার সল্টলেকে সব্যসাচী দত্তের গনেশ পুজোর উদ্বোধনে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের নেতা মকুল রায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমত, তৃণমূল বিধায়কের পুজোয় আসছেন বিজেপির নেতৃত্বরা। পাশাপাশি লক্ষ্যনীয় বিষয় রয়েছে আরও একটি। মন্ডপের মাথাতেও রয়েছে পদ্মফুল। তাহলে কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘটনা? ফের প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। তাহলে কি সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা একেবারেই পাকা? এর আগেই সব্যসাচীর বাড়ি ও অন্যত্র সব্যসাচীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন মুকুল রায়। সেইসব সাক্ষাতের একাধিক অজুহাত দিয়েছেন মুকুল। তবে এবার খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হাজির হচ্ছেন সব্যসাচীর পুজোয়। ফলে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গেল সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা।



উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের লুচি-আলুরদম খাওয়াকে কেন্দ্র করেই জল্পনার সূত্রপাত। এরপর যত দিন গিয়েছে, ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে দলের সঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রের দূরত্ব। শেষে বিদ্যুতভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে ফাটল সুস্পষ্ট হয়। সব্যসাচীর উপর চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন: গায়ের জোরে বনধ, বারাকপুরে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথা ফাটল ৫ বিজেপি কর্মীর


এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিধাননগরের পুরনিগমের কাউন্সিলররা। সেই জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। কিন্তু আদালতের রায়ে অনাস্থা নোটিস খারিজ হয়ে যাওয়ার পরই বিধাননগরের পুরনিগমের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন সব্যসাচী দত্ত। প্রসঙ্গত, সেদিনও সব্যসাচীর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যদিও বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছে দুই পক্ষই।