নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চায়েতের শোধ নেবে বাংলার মানুষ। সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলায় হারের পর এমনটাই জানালেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, '২০১৯-এ পঞ্চায়েতের শোধ নেবে মানুষ।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী আসনে পুনর্নির্বাচনের আবেদনের মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে ওই আসনগুলিতে রায় ঘোষণার ওপর স্থগিতাদেশ খারিজ করে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় রাজ্যের বিরোধীদের জন্য় বড় ধাক্কা বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এদিনের রায়ের পর বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শাসকদলের নেতারা। যদিও এই রায়কে নিজেদের হার বলে মানতে রাজি নন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 


পঞ্চায়েত মামলা: তৃণমূলের 'সুপ্রিম' স্বস্তি, জোর ধাক্কা বিরোধীদের


এদিন দিলীপবাবু বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী আসনগুলিতে ফের নির্বাচন হবে। কিন্তু আদালত সেপথে হাঁটেনি। একটা বিকল্প রাস্তা দেখিয়েছেন বিচারপতিরা। যাঁরা মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি তাঁদের ট্রাইব্যুনালে যেতে বলেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সন্ত্রাস হয়েছে তা সবার জানা। ৭৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কেন, সারা ভারতে এমনকী গোটা বিশ্বে এমন ভয়ঙ্কর নির্বাচন কোথাও হয়নি। তাই আমরা চেয়েছিলাম আবার নির্বাচন হোক। কিন্তু আদালত সেপথে হাঁটেনি। সম্ভবত ফের নির্বাচন হলে ফের হিংসার আশঙ্কায় আদালত বিকল্প পথে হেঁটেছে। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব।'


রাজনৈতিক লড়াইয়ের হার আদালতে হয় না বলে দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই রায়ে বিজেপি কোনও ধাক্কা খায়নি। বিজেপি ধাক্কা খেয়েছিল মনোনয়ন জমা দিতে না-পেরে। শুধু বিজেপি নয়, সেদিন বাংলার সাধারণ মানুষ ধাক্কা খেয়েছিলেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, যাঁদের সরকারে এনেছেন তারা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মানুষ এর শোধ নেবে।' 


'এই রায়ে ঘরেও জিতলাম', বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া কল্যাণের


শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায় ভোটপ্রক্রিয়ার কোনও অংশে কেউ বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় এজন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এদিন ভাঙড়ে অনলাইনে গ্রহণ করা মনোনয়নগুলিকে বাতিল ঘোষণা করে আদালত। বিচারপতিরা রায়ে জানান, অনলাইনে মনোনয়ন গ্রহণের কোনও সুযোগ পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনে নেই।