`বীরভূমের তৃণমূল নেতারা আত্মগ্লানিতে ভুগছেন`, বিজেপিতে বিপ্লব-যোগ প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপের
সকালে তৃণমূল ছেড়ে বিকেলেই বিজেপি সভায় যান অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসতে দেখা গিয়েছে বিপ্লব ওঝাকে। এরপরই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রে এই ছবি। এ ঘটনা প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
অয়ন ঘোষাল: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নলহাটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব ওঝা। সকালে তৃণমূল ছেড়ে বিকেলেই বিজেপি সভায় যান অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসতে দেখা গিয়েছে বিপ্লব ওঝাকে। এরপরই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রে এই ছবি। এ ঘটনা প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ''অনেকেই আসতে চাইছেন। বীরভূমে কিছু লোক করে খাচ্ছিল। এতে তৃণমূলের ভালো লোকেরাও সমাজের চোখে ছোট হয়ে যাচ্ছিলেন। তারা আত্মগ্লানিতে ভুগছেন। এরা আসতে চাইবেন।''
আরও পড়ুন, Weather Today: বছর শেষে ফের জাঁকিয়ে শীত? কেমন থাকবে নতুন বছরের আবহাওয়া?
শুধু বিপ্লব ওঝা প্রসঙ্গেই নয়, এদিন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে তলব করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কর্মরত কর্মী এবং ঘনিষ্ঠদের। সে প্রসঙ্গেও দিলীপবাবু বলেন, ''স্বাভাবিক। যারা ওনার সঙ্গে ছিল তাদের ডাকা হবে। জাল কতটা বিস্তার করেছিল সেটা জানতে সবাইকেই ডাকতে হবে।'' আগামী বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালাসে সিবিআই দফতরে তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
২০২২ সাল কেমন কাটল বিজেপি নেতার? সাংবাদিকদের প্রশ্নে কিছুটা ব্যঙ্গ করেই বললেন, ''এই বছর পজিটিভ। এতো বছরের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে এ বছর। সবাই জানতে পেরেছে। আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়েছে। এই কেলেঙ্কারি বাংলার মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি হয়েছি। ব্রিটেনকে পিছনে ফেলেছি। আর এ রাজ্য দুর্নীতির নয়া রেকর্ড গড়েছে। দুর্ভাগ্যজনক। ২০২৩ আরও ভালো যাবে।''
বন্দে ভারত নিয়ে বিজেপি নেতা জানালেন, এটাও ঐতিহাসিক। দেশে নিজস্ব পদ্ধতিতে সেমি বুলেট ট্রেন এসেছে। নতুন ভারতের উদাহরণ। রাজ্য পিছিয়ে যাচ্ছে। বাকি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখা উচিৎ পশ্চিমবঙ্গের। যেখানে মানুষ বিজেপির সম্পূর্ণ বিরোধিতা করল সেখানেও উনি সেমি বুলেট ট্রেন দিলেন। সেখান থেকে দার্জিলিং অনাস্থা ভোট নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ''ওখানে যা রাজনীতি চলছে, তাতে ওখানকার মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তৃণমূল জোর করে ঝান্ডা গাড়ার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। দালাল দিয়েও পারেনি। গুরুং এ বিশ্বাস রেখেছিল। তিনি পারেননি। ওখানকার সাধারণ মানুষের জন্য খারাপ লাগে।''
আরও পড়ুন, Khanakul: শ্লীলতাহানির চেষ্টা থানার ওসি-র? ব্য়বস্থা না নিলে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূলনেত্রীর!