নিজস্ব প্রতিবেদন: কচুয়াকাণ্ডে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, 'ক্ষতিপূরণ দিলেই হবে না।সরকারকে গাফিলতির দায় নিতে হবে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কচুয়া লোকনাথভক্তদের ভিড় সামাল দিতে পুলিস-প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সরকারকে গাফিলতির দায় নিতে হবে। শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই হবে না। নিরাপত্তা ও জলের ব্যবস্থা করা দরকার ছিল।' পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ধর্মীয়স্থানে প্লাস্টিক বর্জনের ডাকও দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, ধর্মীয়স্থান যাতে অপবিত্র না হয়, সে জন্য প্লাস্টিক বর্জন করা উচিত। কচুয়া দুর্ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের  তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠনের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।    



একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মতে, হজযাত্রীরা নিরাপত্তা পায়। সরকারই দেয়। এটা ভালো কথা। শুধুমাত্র একটা ধর্মের জন্য কেন হবে?               


কচুয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও লোকনাথের মাথায় জল ঢালতে রওনা দিয়েছিলেন ভক্তরা। রাত তিনটে নাগাদ ভিড়ের চাপে আচমকাই ভেঙে পড়ে পুকুরের ধারের পাঁচিল। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত পদপিষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬ জন। আহতদের নিয়ে আসা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল ও এসএসকেএমে।


হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কচুয়ায় যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। লোকনাথ মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মন্দির কমিটিকেই দোষারোপ করেছেন মন্ত্রী। বলেন, 'মন্দিরের ভিতরে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিল কমিটির। স্টলগুলি থেকে টাকা পায় কমিটি। এখন রাস্তার ধারে অস্থায়ী স্টল বসানোর অনুমতি তাদের কে দিল?'


আরও পড়ুন- সময় বড়ই নিষ্ঠুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের জমানায় অমিতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই