নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশ জমে গেলো। দিলীপ ঘোষ থাকলেন মাত্র মিনিট ৪০। এমনকী কৈলাস বিজয়বর্গীয় যখন এলেন, তখন উঠে গেলেন দিলীপ ঘোষ। তারপর কারও সঙ্গে কথা না বলেই রাগ-দুঃখ অভিমানে সভা ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।  যতক্ষণ মঞ্চে ছিলেন, পাশে বসা মুকুল, রাহুলের সঙ্গেও কোন কথা বললেন না দিলীপ ঘোষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আবারও সেই মুকুল রায় বনাম দিলীপ ঘোষ দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।নেতাদের একসঙ্গে কাজ করা যে মোটেই মুখের নয়, আজ তা আবারও প্রমান হল বলেই মনে করছেন দলীয় কর্মীরা। 


আরও পড়ুন: 'ক্ষমতায় এসে চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িত সবাইকে জেলে পুরব', হুঙ্কার কৈলাসের


দ্বন্দ্বের সূত্রপাত বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-র তৈরি তালিকা বাতিলকে কেন্দ্র করে। সৌমিত্র জেলা যুব সভাপতিদের একটি তালিকা ঘোষণা করেছিলেন। সেই তালিকা বাতিল বলে গণ্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সৌমিত্রের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। এরপরই মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে নিয়ে লড়াই তুঙ্গে ওঠে।


শুক্রবারের গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচি থেকে মুকুল রায়ে প্রশংসা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এরপর  রাজ্য সরকারকে বিঁধে কৈলাস বলেন, "মমতাকে বসানোর কারিগর মুকুল, তাঁকে টেনে নামানোর কারিগরও হবেন মুকুলই। এমনিতেই দিলীপ-মুকুল বিতর্ক তুঙ্গে। তার উপর তথাগতর প্রবেশ পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।


আরও পড়ুন: রাজ্যের অনুরোধ মানল কর্তৃপক্ষ! NEET পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ১৩ তারিখ চলবে মেট্রো
 


এ বিষয়ে একাংশের ধারণা তথাগতর পিছনে রয়েছেন রাহুল সিনহা। এর উপর যুব মোর্চা নিয়ে যা হচ্ছে, যেভাবে দিলীপ ঘোষের সুপারিশ বাতিল হচ্ছে তাতে অনেকেরই ধারণা এর নেপথ্যে আছেন কৈলাস। সবমিলিয়ে গণতন্ত্র বাঁচাও দিবসে দলের গণতন্ত্র কেমন তা প্রকাশ্যে এল আবারও। এমন হলে ২১ লড়াই কী হবে, তাই নিয়ে চিন্তিত দলের কর্মীরা।