নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল থেকে বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ এবং আজই, মানে মঙ্গলবারই পূর্ণিমার ভরা কোটাল। কোটালের টানে সমুদ্র এমনিই ফুঁসে ওঠে। এবারেও উঠছে। আগামীকাল পর্যন্ত এই ভরা কোটালের রেশ থাকবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তার উপর আসছে Yaas। কোটাল ও ইয়াসের জোড়া ফলায় সমুদ্র যথেষ্ট ফুলে-ফুঁসে উঠবে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। মন্দারমণি, তাজপুর, চাঁদপুর, জলধা শংকরপুর-- এইসব জায়গা অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গা। সেখানে আপৎকালীন বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। তবে যথেষ্ট বালির বস্তা ব্ল্যাকস্টোন মজুত রাখা হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের সময় কোথাও ফাটল দেখা দিলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে ফেলা হবে বালির বস্তা ও স্টোন। 


আরও পড়ুন: নাইলন দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা লঞ্চ, আসছে Yaas!


ইতিমধ্যে আশ্রয় শিবিরগুলিতে মানুষজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা জুড়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষকে সরানো হয়েছে। প্রায় ৮০০ আশ্রয়-শিবির করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। নৌবাহিনী, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনডিআরএফ, এসটিএফ পুলিস প্রশাসন প্রস্তুত। উপকূল এলাকার ব্লক অফিসগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দিঘার বেশ কয়েকটি বড় বড় হোটেল নেওয়া হয়েছে আশ্রয়-শিবির হিসাবে। গ্রামে যাঁদের পাকা বাড়ি বা ভালো বাড়ি রয়েছে তাঁদের ঘর থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 


সমস্ত কাজে তদারকি করছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি-সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। 


তবে যত বেলা গড়াচ্ছ, সময় এগোচ্ছে, তত আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক স্থানীয়দের চোখে-মুখে।


আরও পড়ুন: Yaas-এর আগমনীর জেরেই বাড়ির উপর পড়ল গাছ