নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকেও প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বিভিন্ন কাজকর্মের খোঁজ খবর করতে গিয়ে রায়পুরে একটি জল প্রকল্পে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তথ্য হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আট বছর এই প্রকল্পটা পড়ে রয়েছে। ২১.২০ কোটি টাকার প্রকল্প। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পটা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু আপনারা আমাকে দেখাচ্ছেন, প্রজেক্ট আন্ডার প্রগ্রেস। যে ডিপার্টমেন্ট এটা করছে তার তো কানমলা খাওয়া উচিত সবার কাছে।  পিএইচইকে বলতে পারো না এটা করতে!


জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও এদিন জেলার কাজকর্ম নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলা পরিষদের সভাপতিকে মমতা প্রশ্ন করেন, টাকা তো নিয়েছেন, কী করেছেন?


মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন উত্তর দিতে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাপতি তাঁর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বলেন, রাস্তাঘাট, চেক ড্য়াম, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


মমতা প্রশ্ন করেন, সবচেয়ে বেশি টেন্ডার কোন দফতর থেকে হয়? এর উত্তরে সভাপতি বলেন, পূর্ত দফতর থেকে অধিকাংশ টেন্ডার হয়। পাল্টা মমতা বলেন, পূর্ত দফতর কী সব টেন্ডার সময়মতো করে নাকি তা ফেলে রাখে নিজের পছন্দের লোককে দেওয়ার জন্য? কখনও কখনও টেন্ডার সময়মতো করলাম না, ফেলে রাখলাম নিজের লোককে দেওয়ার জন্য। সভাপতি বলেন, এরকম হয় না। সিস্টেম মতো কাজ হয়। 


জেলা সভাপতির ওই কথা শুনে মমতা বলেন, আমি যদি বলি আমার কাছে খবর আছে! তুমি দেখে নাও পূর্ত দফতরের কোন কোন টেন্ডার পড়ে রয়েছে। তুমি ৭ দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট দেবে। সেটা পাঠাবে মলয় ঘটকের কাছে। 


মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, দুদিন অন্তর ডিএম এসপি বদল হবে না। এটা কেউ ভেবে থাকলে ভুল করবে। এই ডিএম এসপির সঙ্গেই কাজ করতে হবে। ডিএম, এসপিদের বিরুদ্ধে কূটকচালি করলে সব ভেঙে দেব। তুমি জেলা সভাপতি। তুমিই টিম চালাবে। অন্য কেউ চালাবে না। তুমি শিবাজির কথায় চলবে না। এর থেকে বেশি হাটে হাঁড়ি ভাঙলাম না।


আরও পড়ুন-দু'দফা দাবিতে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)