ICU-তে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর একদল `মদ্যপের`, ভাঙচুর, চাঞ্চল্য বড়মা কোভিড হাসপাতালে
নিজেদেরকে রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেত্রীর `ঘনিষ্ঠ` বলে পরিচয় দিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার সঙ্গে প্রথমসারির যোদ্ধা যাঁরা, তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে বার বার সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে করোনা যোদ্ধাদের হেনস্থার শিকার হতে। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা কোভিড হাসপাতাল। বড়মা কোভিড হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসককে নিগ্রহের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঁশকুড়ায়।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কলকাতা থেকে ১০-১২ জনের একটি দল পাঁশকুড়ার একটি হোটেলে পার্টিতে যোগ দেন। সেই পার্টিতেই রাত ১২টা নাগাদ একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে তাঁর সঙ্গীরা তখন বড়মা কোভিড হাসপাতালে যান। আর তারপরই বাধে বিপত্তি। বড়মা কোভিড হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীরা বার বার তাঁদের অনুরোধ করতে থাকেন যে, এটা কোভিড হাসপাতাল, এখানে সাধারণ রোগীর ভর্তি হয় না।
কিন্তু অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীর কোনও কথা না শুনে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর জোর করে তাঁরা আইসিসিইউ-র ভিতর ঢুকে যান। আইসিসিইউ-তে কর্তব্যরত চিকিৎসকও ওই সাধারণ রোগীকে ভর্তি নিতে অপারগতার কথা জানালে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই হাসপাতালে ব্য়াপক ভাঙচুর চালায় কলকাতা থেকে যাওয়া দলটি। এমনকি নিজেদেরকে রাজ্যের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেত্রীর 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচয় দিয়ে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়ার বিডিও, পুলিস ও কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক টিম। ভাঙচুর ও চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিস ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার দেবোপম হাজরা জানিয়েছেন, "১০-১২ জনের দলে বেশ কয়েকজন যুবতীও ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।"
আরও পড়ুন, জেলা সভাপতি দিলীপের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন সাংসদ অপরূপা, হুগলি তৃণমূলে আরও স্পষ্ট হল 'ফাটল'