নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে এক মাসের শিশুকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন কোলাঘাটের এক শিশু চিকিৎসক। যমজ সন্তানের মধ্যে একজনকে বাঁচাতে না পারলেও, অন্যজনকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ সবংয়ের বাসিন্দা কল্যাণী মাইতি যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তাদের রক্তাল্পতার সঙ্গে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যমজ শিশু দুটিকে তখন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে ২৫ মার্চ দম্পতির যমজ সন্তানের মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। অন্য শিশুটির অবস্থাও তখন অত্যন্ত সঙ্কটজনক। 


আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুটিকে তখন ওই দিনই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে নিয়ে কোলাঘাটের এক নার্সিংহোমে যাওয়া হয়। এরপরই ওই দম্পতি কোলাঘাটের শিশু চিকিৎসক প্রবীর ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এদিকে লকডাউনের জন্য জীবনদায়ি ওষুধ থেকে ল্যাবরেটরি সবকিছুরই সমস্যা ছিল। 


এই পরিস্থিতিতে ওই সদ্যোজাতকে নিজে ২ বার রক্ত দেন চিকিৎসক প্রবীর ভৌমিক। নিজে রক্ত দিয়ে ওই শিশুর চিকিৎসা করতে থাকেন। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস। বিজয়ীর হাসি। চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ এখন কল্যাণী দেবীর সন্তান। একমাসের শিশু পুত্রকে নিয়ে আজ সবংয়ে গ্রামের বড়িতে ফিরলেন দম্পতি।


আরও পড়ুন, '২০ লাখ কোটির প্যাকেজ আসলে ৪.২ লাখ কোটির...পুরোটাই অশ্বডিম্ব, ভাঁওতাবাজি'