ওয়েব ডেস্ক : স্বাস্থ্যে বেনিয়মের অভিযোগ। পরিষেবা আছে ঠিকই। তবে নাম কা ওয়াস্তে! সুযোগ থাকলেও নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। সরকারি হাসপাতালে যেখানে বিনা পয়সায় চিকিত্‍সা পাওয়ার কথা, সেখানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে উল্টো ছবি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, রোগীদের যে সমস্ত পরীক্ষা হাসপাতালে করার সুযোগ রয়েছে, তা করাতে দেওয়া হচ্ছে না। ডাক্তাররাই চিরকূট ধরিয়ে বাইরের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষাগুলি করিয়ে আনতে বাধ্য করছেন। এমনই অভিজ্ঞতা মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ির বাসিন্দা ওমপ্রকাশ চৌধুরীর। পেটের প্রচন্ড যন্ত্রণার কারণে গত ২৭ জুলাই দেড় বছরের ছেলে অমিতকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করান তিনি।


অভিযোগ, তারপর থেকে কখনও রক্ত, কখনও মূত্র পরীক্ষা বাইরে করিয়ে আনতে বলেন ডাক্তাররা। এজন্য চিরকূটও লিখে দেওয়া হয়। ছেলের স্বার্থে হাজার হাজার টাকা খরচ করে টেস্টগুলি করান ওমপ্রকাশ চৌধুরী। পরে জানতে পারেন, সব পরীক্ষারই ব্যবস্থা ছিল হাসপাতালেই। এবং তাও বিনা পয়সায়। অভিযোগ আরও রয়েছে। এবং তাও মারাত্মক। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের দ্বারস্থ হওয়ায়, ক্ষিপ্ত ডাক্তাররা শিশুর চিকিত্‍সা আর করতে রাজি হননি বলে অভিযোগ। বরং তাঁর ছেলেকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। দাবি বাবার।


সুপারের অবর্তমানে এনিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের কাছেই লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন তিনি। অন্যান্য রোগীদের বাড়ির লোকেরও এক অভিযোগ। বিক্ষোভের ঝড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। যদিও ক্যামেরার সামনে এনিয়ে কিছু বলতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিযোগ তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরের অলিতেগলিতে দালালরাজের ফাঁদ