চিকিৎসকের `মৃত` সার্টিফিকেট দেওয়া যুবকের আচমকা উঠে বসে জলপান! তারপর...
হাসপাতালের চিকিৎসক জানান যে ছোটনের মৃত্যু হয়েছে । এরপর আমরা ছোটনের দেহ বাড়ি নিয়ে আসি । বাড়িতে আনার কিছুক্ষণ পরই ছোটন উঠে বসে জলপান করে!
অরূপ লাহা: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যুবককে ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়েও দেয় । কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে যুবক অসুস্থ হয়ে পড়লে, ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা ওই যুবককে 'মৃত' বলে নিশ্চিত ঘোষণা করার পর বাড়ির লোকজন ওই যুবককে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় ও পাশ্ববর্তী শ্মশানে সৎকারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সেইসময় সবাইকে চমকে দিয়ে সাদা কাপড়ে মোড়া ওই ‘মৃত’ যুবক নিজেই জল চেয়ে জল পান করেন! তড়িঘড়ি ওই যুবককে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু শেষমেশ ওই যুবককে আর বাঁচানো যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে।
এই ঘটনায় ফের একবার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাতার হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল ওই যুবককে। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। জানা গেছে,মৃত যুবকের নাম ছোটন সর্দার। তাঁর বাড়ি ভাতার থানার ভাতার গ্রামের বাউড়িপাড়ায়। ভাতার বাজারে নাসিগ্রাম মোড়ে একটি চায়ের দোকান চালাতেন তিনি। সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ বাড়িতে হঠাৎ বুকে ব্যথা শুরু হলে ছোটনকে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতের আত্মীয় ছোট্টু সর্দার, উত্তম সর্দাররা বলেন,’হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা ছোটনকে দুটি ট্যাবলেট খেতে দেয়, দুটো ইনজেকশন দেয়। তারপর চিকিৎসকের কথামত আমরা ছোটনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনছিলাম । কিন্তু রাস্তাতেই তাঁর হেঁচকি উঠতে শুরু করে। ফের আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই । কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক জানান যে ছোটনের মৃত্যু হয়েছে । এরপর আমরা ছোটনের দেহ বাড়ি নিয়ে আসি । বাড়িতে আনার কিছুক্ষণ পরই ছোটন উঠে বসে জলপান করে। তাকে বাঁচানোর জন্য ভাতার হাসপাতালের উপর আর ভরসা না করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম । কিন্তু রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয় ।’
তাঁদের অভিযোগ, ‘হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা হলে ছেলেটা বেঁচে যেত।' এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্ব্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম জানান, একেবারে মিথ্যা অভিযোগ। ওই যুবকের মৃত্যুর পর হাসপাতালের নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের পোস্টমর্টেমের কথা বলতেই পরিবারের লোকজন মৃতদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন, Bangaon: আপনার চাকরি করা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে, বিডিওকে হুমকি বিজেপি নেতার
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)