নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুল এমআরআই রিপোর্ট। আর তা দেখেই সুস্থ ব্যক্তির অস্ত্রোপচার করলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্‍সক। অস্ত্রোপচার করার সময় বোঝা যায় রিপোর্ট ভুল ছিল। কাটাছেঁড়ার পর রোগী প্রায় ২৪ দিন ধরে পড়ে রয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে সংস্থা এমআরআই করেছে তাদের ওপর দায় চাপিয়ে এড়িয়ে গিয়েছে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খড়গপুরের ইন্দায় বাড়ি নাসু খানের। কাঁধে ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।  মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে চিকিত্‍সার জন্য গিয়েছিলেন। চিকিত্‍সক  এমআরআই করানোর পরামর্শ দেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেই এমআরআই করান নাসু খান। রিপোর্ট দেখে চিকিত্‍সক নিদান দেন, কাঁধে হাড়ের সংযোগস্থলে চিড় ধরেছে, অস্ত্রোপচার ছাড়া উপায় নেই।


সেই মতো অস্ত্রোপচারের জন্য  মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন নাসু খান। কিন্তু অস্ত্রোপচারে কাটাছেঁড়ার পর দেখা যায়, একেবারে সুস্থ আছেন নাসু খান


অস্ত্রোপচারের পর থেকে এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নাসু খান। ২৪ দিন হয়ে গেল বাড়ি ফিরতে পারেননি। গোটা বিষয়টি প্রথমে চেপে গিয়েছিলেন চিকিত্‍সকরা। নাসু খানের পরিবারকে অন্ধকারে রেখেছিলেন। 


তবে একটাই জায়গায় গলদ করে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রোপচারের জন্য বিশেষ সুতো পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়। তারপরই পরিজনদের সন্দেহ হয়, ব্যাপারটি গোলমেলে। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, এমআরআই রিপোর্টে বড়সড় ভুল হয়ে গিয়েছে। তবে ভুলের দায়িত্ব নিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপরে দায় চাপিয়েছে তারা।


ভুল এমআরআই রিপোর্টে, চিকিত্‍সকের ভুল সিদ্ধান্ত। সুস্থ মানুষ গত ২৪ দিন ধরে হাসপাতালে। দায় কার? কেন এতবড় গাফিলতি? উত্তর নেই।


আরও পড়ুন-স্তালিনের রাশিয়ায় খুন করা হয়েছিল নেতাজিকে, জানতেন নেহরু: স্বামী